২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ও ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে। ইন্টার মায়ামিতে মেসির নাম লেখানোর পর থেকেই ফুটবল দুনিয়ার আলোচনায় খুব ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছে যুক্ত্ররাষ্ট্র। সেই মার্কিন মুল্লুকে বসতে যাচ্ছে ফুটবলের দুইটি মেগা আসর।
তাই এই টুর্নামেন্টগুলো ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রেক্ষাপটে আর্জেন্টিনা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হস্তান্তর করেছেন ১৫ হাজারেরও বেশি সহিংস ফুটবল ভক্তের তালিকা, যাদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বুয়েন্স আইরেসে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সোমবার (১২ মে) এই তালিকা জমা দেওয়া হয়। বুলরিচ জানান, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা আর্জেন্টিনার স্টেডিয়ামগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় তাদের প্রবেশ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ৩২ দলের বর্ধিত ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ। এ আসরে আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব—বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেট অংশ নিচ্ছে। আগেভাগেই যে কোনো সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে চায় আয়োজক দেশ। নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং রয়টার্সের বরাত দিয়ে জানা যায়, আর্জেন্টিনায় চালু হওয়া ‘ট্রিবিউনা সেগুরা’ বা ‘নিরাপদ গ্যালারি’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বুলরিচ জানান, এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ১,৩২৮টি ম্যাচে প্রায় ৪০ লক্ষ দর্শক পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে ১,১৬৬ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে এবং স্টেডিয়াম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একাধিকবার।
বুলরিচ আরও জানান, তার মন্ত্রণালয়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য নেই। সে দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগ গ্রহণ করবে এবং তারা নিজেরা তালিকার সঙ্গে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাব বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টের জন্য নেওয়া এ পদক্ষেপ ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। (স্পোর্টস ডেস্ক)