তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক – সামাজিক- ক্রীড়া সংগঠক
সামাজিক অবক্ষয় এর এক নতুন নাম টিকটক-কিশোর গ্যাং-বাইকার-আর মাদক।এখনই প্রতিহত করার সময়।কেননা প্রজন্ম নষ্ট করার জন্য অথবা একটি পরিবারকে শেষ করে দেয়ার জন্য এসব যথেষ্ট ।এর সবচেয়ে বড় কারন পারিবারিক মূল্যবোধ। নৈতিকতা শিক্ষা না দেয়াঅতিরিক্ত আদর বাচ্চাদের বিগড়ে দেয়।বাচ্চারা দুষ্টমির ছলে ধীরে ধীরে অপরাধে পাঁ বাড়ায়।আর মাতা পিতা যদি না দেখার ভান করে বা সহজভাবে নেয় তবেই বিপদ। বড়দের সন্মান করা-সকালে ঘুম থেকে তুলে দেয়া-সময় মত খেলা -বড়দের মাঝখানে অবস্থান না করতে শিখানো-অপ্রয়োজনীয় খরচ করতে দেয়া বা তার মনমত আড্ডা অসময়ে বন্ধুদের সাথে যাওয়া ,এসকল বিষয়ে বর্তমানে একধরনের এ প্রজন্মের মাতা পিতাদের কালচারে পরিনত হয়েছে ।যারফলে সন্তানের অপরাধ নজরে পড়ে না।আর যখন পড়ে তখন হয় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া-না হয় পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পর্দার অন্তরালে কাঁদা।আমরা আগে বলতাম সময় থাকতে দাঁতের মর্যাদা না দেয়া। আজকাল শিক্ষকদের বন্ধু ভেবে কথা বলার কারনে শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিকতার কথা আর ছাত্রের কানে পৌছে না।ছেলে বা মেয়ে কি করছে? মাতা পিতা উত্তরে বলেন আমার মেয়ে বা ছেলে অভিনয়
করছে বা ভিডিও বানাচ্ছে।এখনতো পড়ালেখা বন্ধ তাই এগুলো করছে।
কে বললো পড়া লেখা বন্ধ ?বরং আপনি বন্ধ করে রেখেছেন ।পড়ালেখা চালু আছে যদি আপনি তাকে রুটিন মত পড়া পূর্বের ন্যায় ঘরে চালু রাখেন।আর যে ভিডিও তৈরী করছে বা অভিনয় করছে তা টিকটক বলা হয়। আর তাতে আপনার মেয়ে বা ছেলের যে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা কি একবারও লক্ষ্য করেছেন? আপনার সন্তানের পোষাক এবং তার চুলের কাটিং লক্ষ্য করেছেন ? বস্তি আর রাস্তার বখাটে ছেলেটির সংগে তফাত নেই ।মানষিকতা কেমন হচ্ছে ?
যার ফলে রাস্তায় উচ্চ শব্দে গাড়ী চালানো ছেলেটি অথবা পুলিশ যখন মাদকের দায়ে যে ছেলেটিকে পাকড়াও করলো
তারপরে পরিবারের পক্ষহতে দুক্ষ প্রকাশে তাকে ছাড়িয়ে নিলো,তাতে করে তার প্রথমিকভাবে আশকারাতেই নতুনরূপ ধারনে অগ্রগামী হবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে লাগলো।আর এর মাধ্যমে নেশা সহ অপরাধের যায়গায় পৌঁছাতে সময় নেয় না। পিতা মাতাদের আবার একটা আজকাল নতুন শব্দ আমার সন্তান এটা করে নাই অথবা একটু করেছে তাতে কি হয়েছে ?
ছেলেপুলে মানুষ একটু আধটু করবে । যারফলে সে অনায়াশে মাদক আর খুন অথবা ধর্ষনে মত মহা অপরাধ করে ফেলে ।
তখন আইন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করে। মাতা পিতা তখন আহাজারী করে কান্না সাগরে ভাসে ।
তাই পারিবারিকভাবে সময় দিন বা খেয়াল রাখুন ।করোনার এই সময় ঘরে সন্তানের লেখা পড়া পূর্বের ন্যায় চালিয়ে যাবার জন্য তৎপর থাকুন।ভার্চুয়াল ক্লাস এর সময় সন্তানের পাশে বসুন।অন্য সময় খেলা ধূলা করতে দিন-মোবাইল নয়।পারিবারিক শিক্ষার একটি উৎকৃষ্ট সময় চলে যাচ্ছে।মহামারি করোনা আপনার সন্তানকে ঘরে রেখে আপনার শিক্ষার দানের একটা সুযোগ দিয়েছে। বিশেষ করে মায়েদের সন্তানের জন্য একটা উপযুক্ত সময়।প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার সময় হলে খুলবে ।এখন আপনার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সময়।