সাজেদুল করিম :
প্রখ্যাত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ২৮মে,শুক্রবার ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।তিনি ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছেই শিল্পাচার্যকে সমাহিত করা হয়।
বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন জন্মগ্রহণ করেন ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪ তৎকালীন ময়মনসিংহ বতর্মান কিশোরগঞ্জ জেলার কেন্দুয়ায়।
পিতা তমিজ উদ্দিন, মাতা জয়নাবুন্নেছা। পরিবারে ভাই-বোনের সংখ্যা নয় জন,তাদের মধ্যে তিনি বড়। দেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখার জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন।
তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম- দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, , সংগ্রাম, ঝড়, কাক,বিদ্রোহী,সাঁওতাল রমণী,মই দেয়া প্রভৃতি শিল্পীর গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকা বিখ্যাত চিত্র নবান্ন (৬৫ ফুট দীর্ঘ)।
চিত্রশিল্প আন্দোলনের পথিকৃত জয়নুল আবেদিন। বিভিন্ন চিত্র আঁকার প্রতি তাঁর ব্যাপক আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। মায়ের সমর্থনে তিনি কলকাতা গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস-এ ভর্তি হন। কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতক পাশ করেন । পরে তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাপ্টসে’। প্রতিষ্ঠানটি চারু ও কারুকলা কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউটে রুপান্তরিত । তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে একটি গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন।