রেমিট্যান্স এর উপর প্রণোদনা 2%থেকে বাড়িয়ে 4%করার প্রস্তাব করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর ফলে প্রবাসী আয় বাড়ার পাশাপাশি অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতাও কমে আসবে বলে মনে করেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
গেল অর্থবছর থেকে প্রবাসী-আয় এর উপরে ২% প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে প্রবাসী রেমিট্যান্স এর উপর ভর করেই এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। করোনা মহামারীতে যখন অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচকই নেতিবাচক তখনো শক্তিশালী অবস্থানে প্রবাসীরাই। সংকটের মধ্যেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স এর পরিমাণ।প্রবাসী আয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে রেমিট্যান্স এর উপর প্রণোদনার হার বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী, ইমরান আহমদ।এটি কার্যকর হলে হুন্ডিতে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন তিনি।আমাদের টার্গেট হলো আমরা ইল্লিগাল পথটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে চাই।এই প্রণোদনা যেটা দেওয়া হচ্ছে এর মধ্যে ওনারা কিন্তু পাঠাচ্ছে।আমি যদি ওদের উৎসাহিত করার জন্য আরও বেশি যদি দেই তাহলে আরো উৎসাহিত হবে আরও রেমিট্যান্স পাঠাবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন এতে বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত হবে প্রবাসীরা।
ড.তাসনিম সিদ্দিকী (চেয়ারপার্সন রামরু) বলেন,যে ২% প্রণোদনা কে বাড়িয়ে ৪% করা হোক। আমরা মনে করছি এটা করা হলে রেমিট্যান্স এর ঊর্ধ্ব গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পুরোটাই ব্যয় হয় ভোগেতাই রেমিট্যান্স এর একটি অংশকে বাধ্যতামূলক সঞ্চয় প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে আলাদা উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় কর্মীদের পাঠানো অর্থ সরকারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার যদি সুযোগ থেকে থাকে তাহলে কর্মী বিদেশ থেকে আসলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।প্রবাসীদের অবদান বিবেচনায় তাদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারকে আরো আন্তরিক হবার পরামর্শ বিশ্লেষকদের ।