মোঃ তারেক রহমান রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মাথার চুল ও দাঁড়ি কাটতে বর্তমানে সকলকে সিরিয়াল ধরতে হচ্ছে । সেলুনের দোকান সংকট হওয়ায় বেড়েছে নাপিতের কদর। নাপিতের সন্তানেরা এ পেশায় আসছেনা বলে জানিয়েছেন নাপিতেরা।
২৮ফেব্রæয়ারী সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুল কাটতে স্বারিবদ্ধ হয়ে বসে রয়েছে অনেকেই। অনেকে আবার মোবাইলে সিরিয়াল দিয়ে চুল কাটতে আসছে। সেলুনে চুল কাটতে আসা আমজুয়ান গ্রামের রুহুল আমিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গতকাল চুল কাটতে আসলে ভীড় দেখে চলে যাই, মোবাইলে সিরিয়াল দিয়ে আজ কাটতে এসেছি।
এ প্রসঙ্গে মুক্তা মার্কেটের সেলুন মালিক দুলাল শর্মা বলেন, নাপিতের পেশায় আমাদের সন্তানেরা আসছে না রাণীশংকৈল কলেজ রোড সেলুন মালিক মহিনী শীল, প্রভাত,কার্তিক,আনন্দ প্রমূখ একই কথা বলেন। কারণ আমরা যারা এ পেশায় আছি প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থেকে চুল,দাঁড়ি কাটতে হচ্ছে, ফলে পায়ে ব্যথা অনুভব হচ্ছে ডাক্তারের চিকিৎসা করে চলতে হচ্ছে আমাদের। যার ফলে আমাদের সন্তানদের এ পেশায় নিয়ে আসছিনা। তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে চাকুরীর চিন্তা ভাবনা করছি। এ পেশায় আয় রোজকার কেমন হয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৮শ থেকে হাজার টাকা হয়। তবে সংসার চালাতে তেমন কষ্ট হয় না।
এ বিষয়ে রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, সেলুনের দোকান গুলোতে এখন ভিড় প্রায় সময় লেগেই থাকে। এ পেশায় বেশিভাগ হিন্দুধর্মালম্বীরাই কাজ করে থাকে। নতুন নাপিত সৃষ্টি না হলে সংকটে পড়বে লোকজন ।
এজন্য সরকারের পৃষ্টপোষকতার দরকার। সরকারি ভাবে নাপিতের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলুন তৈরি করে দিলে ভবিৎষতে এ সংকট দুর করা যাবে।
সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন ট্রেডে ৯০ জন কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন নাপিত কে আমরা প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।