মো: সাকিব চৌধুরী
রংপুরে সামনে রমজান এবং গরমকে কেন্দ্র করে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বেড়েছে লেবুর। এ অবস্থায় রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে লেবুর দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত সপ্তাহেও যে লেবুর দাম ছিল ১৫-২০ টাকা হালি, সেটি এখন কিনতে সর্বনিম্ন গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর আকার-আকৃতি, জাত ও মানভেদে হালিপ্রতি লেবু ৭০, ৮০ এমনকি ১০০ টাকাও দাম চাওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুর সিটি বাজারের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাতের লেবু এনেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে লম্বা আকৃতির লেবু, এরসঙ্গে গোল আকৃতির লেবু, কাগজী লেবুও রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই লেবুর দাম নির্ধারিত হচ্ছে আকৃতি ভেদে। লেবু যত বেশি বড় দামও তত বেশি। তবে যেকোনো জাতের লেবুতে সর্বনিম্ন ৪০-৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।
রংপুর সিটি বাজারের বাইরের দোকান নিয়ে বসা আকমল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম যেমন বেশি তেমন মানও ভালো। প্রতিবছরই রোজার আগে দাম এরকম বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরম শুরু হয়েছে শরবতের জন্যও ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে লেবু। গত সপ্তাহেও যেই লেবু ১৫ টাকা হালি ছিল সেটি এখন ৩০-৩৫ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। রোজার মাস ধরে এমন চড়াই থাকবে। আবার পাহাড়ি লেবু বাজারে নামলে তখন দাম কমে আসবে।
লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। শারমিন আক্তার ঈশা নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ রোজার বাজার করেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানের লেবুর হালি ৬০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ৮০ টাকা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।