মো: সাকিব চৌধুরী-
রংপুর মহানগরীসহ জেলায় যথাযথ আনুষ্ঠানিকতা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সপ্তমী বিহীত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সনাতন ধর্মলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হয়েছে। উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে সনাতন ধর্মীয়রা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে রংপুর মহানগরী ও জেলার সকল মন্দির-মন্ডপে পূজা-অর্চনা, ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজন শুরু হয়েছে। মা দুর্গা দেবীর আগমন পূর্বাহ্নের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে রংপুর নগরীর পরেশনাথ মন্দির, গুপ্তপাড়া মন্দির, শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালীমন্দির, সেনপাড়া মন্দির, ক্ষত্রিয় সমিতি মন্দির, দাস পাড়া মন্দিরসহ রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় অত্যন্ত উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, ভক্তদের কষ্ট দূর করতে চলতি বছর দেবী দূর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর বিজয়া দশমীর দিন একই বাহনে মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে চলে যাবেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী। এদিন হবে সন্ধিপূজা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী এবং মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দূর্গাপূজা।
এবার রংপুর মহানগরীর ১৫৭টি ও জেলার আট উপজেলায় ৮০৬টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দুর্গা পূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নিরাত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্তিতি এড়াতে মন্ডপে পুলিশ, আনসার বাহিনী ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা থাকবেন। এছাড়াও সাদা পোশাকধারি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। বেশ কিছু মন্ডপে সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলার সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, এ বছর রংপুর মহানগর ও জেলায় ৯৬৩টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা হবে। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি ধীমাণ ভট্টাচার্য বলেন, মহাষষ্ঠীর সকালের কল্পারম্ভ। আমরা সংকল্প করলাম, যে পূজা করব। আমরা কল্পনা করছি দেবী বিল্ববৃক্ষে এসেছেন। তাকে আমরা কল্পনা করেছি। এটাই কল্পারম্ভ। বোধন এবং অধিবাসের মধ্য দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সব প্রতিকূলতায় তিনি যেন আমাদের শক্তি জোগান।