মো: সাকিব চৌধুরী-
রংপুরে কালোবাজারির মাধ্যমে কেনা ৪৭০ বস্তা সরকারি গম অন্যত্র পরিবহনের সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গম ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যানও উদ্ধার করা হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি এ গমের প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি করে।
আটক দু’ আসামি হলেন- রংপুর মহানগরী নুরপুর এলাকার হাজী নিজাম উদ্দিনের ছেলে জিসান উদ্দিন ওরফে প্রিন্স (২৯) ও হারাগাছ পোদ্দারপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা বাদশার ছেলে আব্বাস আলী (৪২)। আটক এ দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) তাজহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আরপিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর দমদমা ব্রিজ সংলগ্ন মহাসড়কের পার্শ্বে অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে আটক ও গম উদ্ধার করে।
উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দমদমা ব্রিজ সংলগ্ন ফুড ফান হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্টের সামনে চলাচলের মহাসড়কের পার্শ্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪৭০ বস্তা খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি গম উদ্ধারসহ একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া গমের বস্তার সর্বমোট ওজন ২৩ হাজার ৫০০ কেজি। বর্তমান বাজারে এর আনুমানিক মূল্য হবে ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজন রংপুর মহানগরীর আলমনগর খাদ্য অধিদপ্তরের গোডাউন হতে মেসার্স রিপন ময়দা মিলের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি গম বিধি বহির্ভূতভাবে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক লাভে হাজী মো. নিজাম উদ্দিন ট্রেডার্সের কাছে বিক্রয় করেন। হাজী মো. নিজাম উদ্দিন ট্রেডার্স আবার এসব গমের বস্তা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর মেসার্স রানা ট্রেডার্সের নিকট বিক্রয় করেন, যা কাভার্ডভ্যানে করে পরিবহনের সময় উদ্ধার করা হয়।