মো: সাকিব চৌধুরী
রেলপথে যাতায়াতে রংপুর বিভাগ থেকে ঢাকা পর্যন্ত পূর্বের রেয়াত পদ্ধতি চালু করাসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন রংপুরবাসী। এসময় রেয়াত পদ্ধতি বাতিলকে অসাংবিধানিক অন্যায় এবং রংপুর বিভাগের সঙ্গে বৈষম্য বাড়ানোর সামিল বলে অভিযোগ করা হয়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার রংপুর বিভাগের একটি করে রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে এই মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক শতাধিক মানুষ। এসময় দাবি আদায়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন অংশগ্রহণকারীরা। আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকরা।
মানববন্ধনে রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহীপরিষদের সাবেক সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ১৯৯২ সালে রেয়াত পদ্ধতির মাধ্যমে রেলওয়ে যাত্রী সংকট মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই কারণেই রংপুর বিভাগ থেকে যাতায়াতে ১২০ কিলোমিটার পথের কোনো ভাড়া লাগত না। কারণ সান্তাহার নাটোর চাটমোহর হয়ে ১২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে রংপুর বিভাগ থেকে রেলপথে যাতায়াত করে। কিন্তু হঠাৎ করেই গেল ৪ মে রেয়াত পদ্ধতি বাতিল করে ভাড়া আদায়ের কারণে রংপুর থেকে ৫০৫ টাকার ভাড়ার স্থলে ৬৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে এবং তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে।
এ সময় অবিলম্বে রেয়াত পদ্ধতি পুনর্বহাল, ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ, সরাসরি রংপুর বিভাগ থেকে বালিসিঘাট হয়ে ঢাকা এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করার দাবি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত রেয়াত বহাল করবে না ততদিন পর্যন্ত আমরা প্রতি শুক্রবার রংপুর বিভাগের প্রতিটি স্টেশনে স্টেশনে এই কর্মসূচি পালন করবো। আগামী ১৭ মে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গেল ৪ মে থেকে রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াও রেয়াত পদ্ধতি তুলে দিয়ে ভাড়া আদায় করছে রেলওয়ে বিভাগ। ১৯৯২ সাল থেকে রংপুর বিভাগের যাত্রীরা এই রেয়াত পদ্ধতি পাওয়ায় ১২০ কিলোমিটারের ভাড়া মওকুফ পেতেন। এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সময় ও অর্থ দুটিই বেশি দিতে হচ্ছে রংপুর বিভাগের রেলযাত্রীদের।