নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী (৫ আগস্ট)।
এ উপলক্ষে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ, রংপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক সুরাইয়া আক্তার, যুগ্ম আহবায়ক রওশন আরা ববি, যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খাতুন, সদস্য পারভীন আক্তার, নাজমা বেগম ময়না, মর্জিনা বেগম, পারভীন সুলতানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এরপর মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরে নেতারা শেখ কামালের সমাধিতে ফুল ছিটিয়ে দেন। এ সময় তারা অবিরাম শ্লোগান দিতে থাকেন।
যুগ্ম আহবায়ক রওশন আরা ববি বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহাকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি এ (অনার্স) পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তিনি শুধু উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, ছিলেন ঢাকা থিয়েটারেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। শৈশব থেকে খেলাধূলায়ও প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার।
শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনায় মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। সে সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন।