কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ইউনিটে একটানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়ায় পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা থেকে এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ১৮০ থেকে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। এর জন্য দৈনিক ২ হাজার ৩০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন- বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ১৮০-১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে। একসঙ্গে দুই ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে ৩টায় পানির বয়লারের পাইপ ফাটে ও বিয়ারিং ভেঙে ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩ নম্বর ইউনিটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বয়লারের টিউব ফেটে গেলে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চার দিন বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ নম্বর ইউনিট উৎপাদন শুরু হয়। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ টন কয়লা দরকার হচ্ছে।
১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় ৪ বছর তিন মাস ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। (ডেস্ক নিউজ)