মো: সাকিব চৌধুরী
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে কমিশন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভাশেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আগের মতো দিন নেই। কমিশন এবার নতুন আইন করেছে ভোটারদের জন্য। তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন পেছানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। কেন পেছাবে?
ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার কতটুকু গ্যারান্টি আছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলবো, আগে কিন্তু ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কোনো বিধান ছিল না। এবারের কমিশন আইন সংশোধন করে এই কাজগুলোকে শাস্তির আওতায়ে এনেছে। আমি বলবো কোনো ভোটারকে যদি রাতের অন্ধকারে কোনো রকম ভয়ভীত দেখায়। সে কথা যেন তিনি নির্ভয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বলেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমাদের বলা আছে, তারা বিষয়গেুলো দেখবেন। এবার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, বাধাগ্রস্ত হবেন, এ ধরণের কোনো ঘটনা এবার ইনশাআল্লাহ হবে না। ভোটাররা নির্বিঘ্নে আসতে পারবে।
ভোটের দিন সেনাবাহিনী থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা বলেন, থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এখনো আমরা এ ব্যপারে হান্ড্রেড পারসেন্ট ডিসিশন নেই। তবে অতীতের সমস্ত নির্বাচনে সেনাবাহিনী থেকেছে। এই নির্বাচনেও তাদের রাখার চিন্তা আছে। অবস্থা বুঝে আমরা সেটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিবো।
ভোট গ্রহনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রন নেই সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন, ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইসির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। সে কারণে এক দিনের নোটিশে আজকের ফ্রুটফুল মিটিং হয়েছে। সুতরাং তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা সেটা আপনারা চিন্তভাবনা করেন।
হরতাল অবরোধ প্রশ্নে রাশেদা বলেন, কে হরতাল দিবে বা অবরোধ দিবে সেটা আমরা কিছুই বলতে পারবো না। কিন্তু আমাদের আইনশৃঙখলা বাহিনী এ ব্যপারে প্রস্তুত আছেন। ভোটের পরিবেশ তৈরি আছে, তৈরি থাকবে, সেটা যেকোনোভাবেই হোক। আমাদের ইচ্ছা ভোটাররা যাদের চাবেন, তারাই নির্বাচিত হবেন। তারাই সংসদ গঠন করবেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।