নিজস্ব প্রতিনিধি:
২৪ আগস্ট, ২০২১,মঙ্গলবার PROKAS (britishcouncil.org) এর “ফুড সেফটি ইনিশিয়েটিভ বিয়ন্ড দ্য প্রজেক্ট পিরিয়ড” শিরোনামে multi-stakeholder এর সমন্বয়ে “নলেজ শেয়ারিং এন্ড লার্নিং” বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ক্যাব রংপুর।
বেলা ১০টায় কামাল কাছনা, জি এল রায় রোড সংলগ্ন “অ্যাসোড “ট্রেনিং সেন্টারে মোট ২৫ জন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এনজিও প্রতিনিধি, খামারি, ব্যবসায়ী, ফিড ডিলার, পেপার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাব রংপুরের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আহসান উল হক তুহিন-এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা ঘটে। সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম, প্রকল্প সমন্বয়ক, ক্যাব, ঢাকা। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক্তার মোঃসিরাজুল হক, রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন ডাক্তার এ এস এম সাদেকুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রংপুর। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মামুনুর রশিদ মানিক কাউন্সিলর (০৮ নং ওয়ার্ড), রংপুর সিটি কর্পোরেশন,রংপুর।
কর্মশালা শুরুর প্রাক্কালে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের পরিচয়পর্ব ছিল বেশ আকর্ষণীয়। বর্তমান “করোনা বিপর্যয়” পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলেই নিজ-নিজ পরিচয় ও ব্যক্তিগত মতামত সকলে তুলে ধরেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর ক্যাব ঢাকার প্রকল্প সমন্বয়ক মোঃ রেজাউল করিম কর্মশালার মূল বিষয়বস্তু প্রজেক্টরের মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরেন।
এগারোটায় শুরু হয় মুক্ত আলোচনা। এ পর্যায়ে আমন্ত্রিত সকল স্টেকহোল্ডারগণ গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সুযোগ পান। ওয়ার্ল্ড ভিশন, ব্র্যাক, শিল্পধারা সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগণ এ সময় এই প্রকল্পের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কর্মশালার এক পর্যায়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে আগত কর্মকর্তাগণ কর্ম ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ বাজার মনিটরিং এর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে ক্যাব রংপুর যে সমন্বয় সাধন করেছেন; এটি এই প্রকল্পের সফলতা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তিনি আরো বলেন, রংপুর সদর উপজেলার পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নিবন্ধন, পরিবেশের উন্নয়ন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ক্যাব রংপুর ও কনজুমার্স কমিটি মাঠ পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
প্রকল্পের শুরুতে ২০১৭ সালে সদর উপজেলায় এই শিল্পে নিবন্ধন সংখ্যা যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায় ছিল, বর্তমানে সেটি ক্যাবের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি খামার ব্যবস্থাপনা, লাইভ বার্ড মার্কেট, ফিড ডিলার ও ফিড মিল সহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো পরিবেশগত ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বচ্ছতার পরিচয় দিচ্ছেন।
আগত বক্তারা বলেন, পোলট্রিশিল্পে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যথার্থতা বজায় রাখতে হলে এবং খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংস ও ডিমের দাম কমাতে চাইলে এই ব্যবসায় পালন বাচ্চা, মুরগির খাদ্য ও ঔষধ পত্রের দাম আবশ্যিকভাবে কমাতে হবে।
কর্মশালার শেষ পর্যায়ে পৌনে একটায় ক্যাব রংপুর ও কর্মশালার সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুর রহমান উপস্থিত ক্যাব রংপুরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের এই প্রকল্পে সর্বতোভাবে কাজ করে সফলতা অর্জনের জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্যাব রংপুরের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্মশালায় আরো যারা উপস্থিত ছিলেন ক্যাব রংপুরের পক্ষে জনাব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (সহ-সভাপতি), জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম রাজু (সহ-সাধারণ সম্পাদক), জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম লিখু (সাংগঠনিক সম্পাদক), জনাব সাহেদা বেগম বেবি, কাউন্সিলর (১৩,১৪,১৫ নং) সংরক্ষিত মহিলা আসন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন রংপুর,স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।