হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হয়ে উঠলেও এখনও অনেকেই এটিকে শুধুমাত্র পুরুষদের সমস্যা বলে মনে করেন।এই ভুল ধারণায় নারীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দেরিতে হয় । এতে করে নারীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের প্রায় অর্ধেকই কোনো না কোনো ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে (সিভিডি) আক্রান্ত। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬ কোটির বেশি নারী হৃদরোগে ভুগছেন।
নারীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো অনেক সময় পুরুষদের তুলনায় ভিন্ন ও সূক্ষ্ম হয়ে দেখা দেয়। ফলে সেগুলো অন্য রোগ ভেবে উপেক্ষা করা হয়।
অনেক নারী গলা, চোয়াল বা পিঠের ওপর অংশে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করেন, যা দাঁতের সমস্যা বা মাসল পুল ভেবে অবহেলা করা হয়। কিন্তু এই ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত হতে পারে,
বুকের ব্যথা ছাড়াই হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা সতর্কসংকেত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সময় নারীদের অনেক সময় বমি বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা হৃদরোগের উপসর্গ হতে পারে।
হঠাৎ মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এগুলোও হৃদরোগের পূর্বাভাস দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেক নারী বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডিটির মতো অস্বস্তি অনুভব করেন।
কোনো কাজ না করেও হঠাৎ ঠাণ্ডা ঘামে ভিজে যাওয়া, যার সঙ্গে মাথা ঘোরা বা বমির অনুভূতিও থাকতে পারে— এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় সতর্কতা।
এই উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের সহায়তা নিন।
(স্বাস্থ্য ডেস্ক)