তেজপাতা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে।খাবারে ব্যবহারের যোগ্য তেজপাতার ধরন অনুযায়ী নামগুলো হচ্ছে- ক্যালিফোর্নিয়া তেজপাতা, ভারতীয় তেজপাতা, ইন্দোনেশিয়ান তেজপাতা, মেক্সিকান তেজপাতা, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তেজপাতা ও তুর্কি তেজপাতা।
এই তেজপাতার উপকারিতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি।
তেজপাতা আপনার খাবারে ন্যূনতম ক্যালোরি যোগ করে এবং এটি ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
তেজপাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এসব উপাদান আপনাকে সুস্থ থাকতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কার্যকরী করে তোলে।
তেজপাতার চা পেট খারাপের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। চায়ে এই পাতা যোগ করা হলে সুগন্ধ বাড়ে। আবার সাইনাসের চাপ বা নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থাকলে তা দূর করে থাকে।
তেজপাতা অধিকাংশ সময় খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয় এবং সুগন্ধ সৃষ্টি করে। তবে এটি কাঁচা বা বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। এটি চিবানো যাবে না। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় তেজপাতা ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ছোট ছোট কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, তেজপাতার গুঁড়ো ক্যাপসুল গ্রহণ বা তুর্কি তেজপাতা থেকে তৈরি চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। গবেষণাটি ছোট ছিল এবং এটি অন্য ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওপর কার্যকরী নয়। এটি সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল।
তেজপাতা হচ্ছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের ভালো একটি উৎস। প্রতি এক টেবিল চামচ চূর্ণ তেজপাতায় রয়েছে― ৫.৫ ক্যালোরি, ০.১ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ১.৩ গ্রাম কার্বোহাইপ্রেট। এছাড়াও এতে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)