০২ আগষ্ট,মঙ্গলবার ২০২২
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, সরকার দেশের ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এককোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। শোকাবহ আগষ্ট মাসে চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল এবং পিঁয়াজ নির্ধারিত মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমান পণ্য বিক্রয় শুরু করা হলো। এ সকল পণ্য এক কোটি কার্ড হোল্ডারের কাছে বিক্রয় করা হচ্ছে। পণ্য বিক্রয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখন আর ট্রাক সেলে এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে না। নিয়োগকৃত ডিলারগণের নির্ধারিত দোকান বা স্থাপনা হতে দেশব্যাপী এ পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নি¤œআয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ফলে প্রকৃত নি¤œআয়ের মানুষ এ সকল পণ্য পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবেন। এতে সুবিধাভোগীগণ খুশি। টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে কোন ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী (০২ আগষ্ট) ঢাকায় মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে শোকাবহ আগষ্ট মাসে দেশব্যাপী ফ্যামিলি কার্ডধারী নি¤œআয়ের এককোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক দেশের এককোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নি¤œআয়ের পরিবারের মাঝে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১১০ টাকা এবং পিঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে (ভর্তুকি মূল্যে) টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতি কার্ডধারীর কাছে এক কেজি চিনি, দুই কেজি মশুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল এবং দুই কেজি পিঁয়াজ বিক্রয় করা হচ্ছে। নিয়োগকৃত ডিলারগণের মাধ্যমে দেশব্যাপী নির্ধারিত দোকান বা স্থাপনা হতে এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ এবং সময়ে এ সকল পণ্য বিক্রয় অব্যাহত থাকবে। তবে, পিঁয়াজ শুধু মহানগরী এবং জেলায় টিসিবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলা সমুহে বিক্রয় করা হবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেলারেল মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলী আহাদ খানসহ বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ও টিসিবির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।