টেস্ট টোয়েন্টি আভির্ভাবের মাধ্যমে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় শুরু হলো । যেখানে প্রতিটি ম্যাচে দুই ইনিংস থাকবে এবং প্রতিটি ইনিংস ২০ ওভার।
ফরম্যাটটি টেস্ট ক্রিকেটের কৌশল এবং গভীরতা বজায় রেখে একদিনে রোমাঞ্চকর সংস্করণ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
ওয়ান-ওয়ান সিক্স নেটওয়ার্কের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া উদ্যোক্তা গৌরব বাহিরভানি ক্রিকেটে এই নতুন চতুর্থ ফরম্যাট”টি উদ্ভাবন করেছেন, যার লক্ষ্য আগামী প্রজন্মের ক্রিকেট প্রতিভাবানদের আবিষ্কার এবং উদযাপন করা।
গৌরব বাহিরভানি বলেন, এটি কেবল একটি নতুন লিগ নয়, এটি ক্রিকেটের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে ভবিষ্যৎ গড়ার একটি প্রচেষ্টা। আমরা চাই এই ফরম্যাটের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের প্রতিভা সঠিকভাবে উদঘাটন ও উদযাপন করা হোক।
প্রথম মওসুম শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ, যেখানে ছয়টি আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নেবে। প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবে আটজন স্থানীয় এবং আটজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, যাতে বিশ্বব্যাপী প্রতিভার সমন্বয় নিশ্চিত হয়।
টুর্নামেন্টের কাঠামো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে প্রতিটি দল দুটি ইনিংস খেলে, খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা যায় এবং কৌশলগত দিকও বজায় থাকে।
টেস্ট টোয়েন্টি শুধু খেলোয়াড়দের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য নয়, বরং ১৩–১৯ বছর বয়সী যুব খেলোয়াড়দের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিভা বিকাশের ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করবে।
জুনিয়র টেস্ট টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং তাদের পারফরম্যান্স এআই ও ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
ফরম্যাটটির পরামর্শক বোর্ডে আছেন ক্রিকেটের কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স, স্যার ক্লাইভ লয়েড, ম্যাথিউ হ্যাডেন এবং হারভজন সিং।(স্পোর্টস ডেস্ক)