আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি মনে করে, ক্যানসারের যে সাধারণ উপসর্গগুলোর বিষয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ক্যানসারের উপসর্গ।
কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। অবশ্য যে স্থানে ক্যানসার উৎপন্ন হয়েছে সেখান থেকে দেহের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তখন প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়।
চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যানসার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যানসার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণেও ক্যানসারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরও কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস ত্বক লাল হয়ে যাওয়া। চুলকানি মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি।
অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন
কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা মলের আকারে দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন মলাশয়ের ক্যাসনারের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত, বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
যে ক্ষত ভালো হয় না
অনেকেই জানেন যে দেহে যদি কোনো আঁচিল থাকে যেটি বাড়ে বা ব্যথা হয় বা সেটি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সেটি ত্বকের ক্যানসারের একটি লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু শরীরে যদি কোনো ক্ষত থাকে যেটি চার সপ্তাহের পরও ভালো হয় না বা সেরে যায় না, এমন ক্ষতের প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। মুখে যদি এমন কোনো ক্ষত হয় তাহলে সেটি মুখের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)