তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক -সামাজিক- ক্রীড়া সংগঠক।
যে শহরের মেয়র সুবর্ণ সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও রংপুর বাসীর আধুনিক নগর গড়া বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা আগামী ২০/৩০ বছর মেয়াদী কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করার এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে নগরায়ণের কোন ইনোভেটিভ চিন্তা – চেতনার বাস্তব সম্মত কিছুই করতে পারলেন না; উপরন্তু সংবাদিকদের উপর মামলা – নগরজুড়ে অটো চলাচল- সিটি নকশার মাধ্যমে জটিলতা বৃদ্ধি-জলাবদ্ধতা-ড্রেনেজ ব্যবস্থার নেই কোন আধুনিকায়ন -মশার স্বর্গ রাজ্য-এর উপর নব জাতক রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর ১০ বছরের মাথায় দুদক এর তলব – নিন্মমানের নির্মাণ ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় বলতে চাই খুঁজে নিন আগামীর যোগ্য নগর পিতা দলমত নির্বিশেষে। প্রয়োজনে এমন ব্যক্তিকে এখনই শনাক্ত করুন রংপুরের জন্য প্রয়াত আনিসুল হক বা উত্তরের আতিক নাহয় দক্ষিণের তাপস অথবা তিলোত্তমা নগরি গড়ার খায়রুজ্জামান লিটনের এর মতো সুনিপুণ কারিগর বা একজন দিবা স্বপ্নবাজ মানুষকে। কেননা একজন যোগ্য নগর পিতার বড়ই অভাব আমাদের । আজ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর জন্য যখন দেখি উত্তরের মন্ত্রিমহোদয়গন টাকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য তদবীর করে তখন আমার নগরের মানুষের কোন নগরের কোন মাস্টার প্ল্যান এর কিছুই নাই। তবে এটা কোন গতানুগতিক ধারা কিনা জানি না ।কেননা আপনাদের মনে পড়ে কিনা ? বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর হল নির্মান করার প্ল্যান উপস্থাপন করা হয় ৬ তালা ভবনের যা পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১০ তলা ভবনের প্লান পাশ করা হয়। এর পরেই বানিজ্য মন্ত্রি মহোদয় নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে ১৭ তলা করে ২ টি ভবনের নকশা করার জন্য যা হবে আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ও সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে নির্দেশনার কোন কাজ হয় নাই ।এতো দাবী হওয়া সত্বেও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু করার জন্য কিন্তু তিনি তা করতে ব্যার্থ হয়েছেন।তিনি যদি না পারেন তা সরাসরি স্বাস্থ মন্ত্রনালয় এর অধীনে দিয়ে দিন ।না হয় জেলা প্রশাষকএর কাছে দ্বায়িত্ব দিন ।মানুষের বাঁচার বা চিকিৎসার অধীকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই ।জলাবদ্ধতা জন্য নগরবাসী এখন আতংকে ।
শ্যামা সুন্দরি খালের আবর্জনা এখন কেন পরিস্কার করা হচ্ছে? কেননা রংপুর জেলা প্রশাষকের রুমে গত বছর এক আলোচনা সভা করে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় খাল উদ্ধার -সংস্কার এবং পানি সরবরাহের প্রকল্প গ্রহন এবং বাস্তবায়নে নৌ মন্ত্রনালয় /পানি মন্ত্রকের সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করার জন্য কিন্ত মেয়র মহোদয় কি করলেন ? যার পেটে ক্ষুধা আছে এমন নগর পিতা বা জনগণের পাশে নিজের অবস্থান থেকে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই এমন ব্যক্তি নির্বাচিত করে আমরা কী পরিমাণ ভোগান্তিতে আছি তা বাস্তবে দেখছি – নোংরামীর বা সস্তা আবেগের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। এম পি বিহীন আজ রংপুর নগরের ১৩ বছর। রংপুর সদরের মানুষ জানে না একজন সংসদ সদস্য কতটা প্রয়োজন। তারপরও বলবো অন্তত নগর পিতা এমন এক ব্যক্তি হোক যার ফলে মানুষ অন্তত যেন তার লোকাল সমস্যা গুলোর সমাধান টানতে পারে। পাশাপাশি রংপুর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন করে এখনই কাজ শুরু হওয়া উচিত বা সময়ের দাবী; তা না হলে আমাদের আরো পিছনে পড়তে হবে।
ইতোপূর্বে রংপুর জেলার মাননীয় এম পি ডিউক চৌধুরী- এইচ এন আশিকুর রহমান- সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এম পি এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রি জাতীয় সংসদে বিভিন্ন দাবী উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক যথেষ্ট উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এর সময় লাগবে এটা যেমন সত্য কিন্তু একজন সঠিক নাবিক হলে যাত্রীদের গন্তব্য বা সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগবে না । আজ যা শুরু হবে তা একসময় আলো দেখবে সবাই। কিন্তু শুরু না করতে পারলে শেষ হবে কবে ? রংপুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় – তিস্তাপাড়ে শিল্প নগর – আধুনিক নগরায়ণ সহ উন্নয়নের জন্য চাই আমাদের একজন অভিভাবক যার নেশা হবে জনগণের জন্য।
ব্যক্তিগত কোন লেখা বা মতামতের ক্ষেত্রে সম্পাদক দায়ী নয়। এর সমস্ত দায়ভার লেখকের।