তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক – সামাজিক – ক্রীড়া সংগঠক
সাদামাটা না সোজা কথা, নয়তো বক্রচিন্তা কি বলবো জানি না – তবে জীবন যন্ত্রনায় দগ্ধ প্রতিদিন লক্ষ জনতা। রাষ্ট্র তার ভূমিকা রাখে দেশ এবং জনগণের জন্য । রাষ্ট্র তার জায়গায় চিন্তা চেতনার গভীরতায় গিয়ে লক্ষ্য অর্জনে মাস্টার প্ল্যান করে একটি কর্মযজ্ঞ করে চলে এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া, কিন্ত খেটে খাওয়া আর ছোট-খাটো চাকুরী
করে অথবা রাস্তার ধারে বা ছোট ব্যবসায়ী জীবন সংগ্রামে যা কিছু অর্জন করে বা আয় করে তা প্রতিদিন তাকে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে ঘর-সন্তান
ও সামাজিক সব কিছুতেই সফলতা দেখার।
যা-ই কিছু চলছিল কর্মযজ্ঞ তাতেই সন্তোষ্ট বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটি।
ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে নিজেকে পরিচিত করার সামর্থ্য লাভ করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়ে। তিনি তার নির্দেশিত কর্মের প্রতিফলনের প্রতিও রয়েছে গভীর পর্যবেক্ষণ এবং তাগাদা। আমরা এও আজকে সকলেই জানি বৃহৎ একটি অংশ আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা বা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই রয়েছে। বাঙালিদের পদচারণায় মূখর,স্বপ্ন দেখা রেমিটেন্স যোদ্ধা অথবা ঐ দেশে ব্যবসা করছে। এমন সন্তানদের পাঠানো টাকায় একদিকে রাষ্ট্র এবং দেশ থেকে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের হাসিমুখ সকলেরই নজর। কিন্তু বিপ্লব ঘটে যাওয়া শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র চাকুরী
থেকে শুরু করে সারা দেশ,সারা পৃথিবী থমকে গেল এক অজানা মরণ ব্যাধি করোনার আক্রমণে।
পশ্চিমা দেশ গুলো যেখানে পরাস্ত সেখানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক অবস্থানে তার জনগণ ব্যবসা
বাণিজ্য শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়ে যে লড়াই করে যাচ্ছেন তা কিন্তু অবাক করার মতো;কেননা সরকার যখন মাস্ক পড়তে বললো তখন মাস্ক পড়বো না। যখন ভ্যাকসিন আনলো তখন ভ্যাকসিন দিবো না।
যখন মরতে শুরু করলো তখন জনগণ বলতে লাগলো আমাকে বেড দাও,অক্সিজেন দাও,আমাকে ভ্যাকসিন দাও। শুরু হলো ধাক্কা-ধাক্কি-কিন্তু সরকার প্রধান যখন বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ,তাতেও
আবার আমাদের উদাসীনতা।
জনগণের নিরপত্তার কথা ভেবে সরকার লকডাউন দিলো,চেষ্টা করলো সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকলে খাদ্য-প্রণোদনা সব কিছুর সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ,এমনকি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্যও
রাষ্ট্র প্রধান সুবিধা ঘোষণা করলেন-অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশগুলো পুরোদস্তুর হিমশিম খেয়ে
সামাল দিয়ে যখন কাজে ফিরছে তখন আবারো বিভিন্ন দেশে হানা দিচ্ছে করোনা। তারপরও তারা তাদের বাণিজ্য নিরাপত্তা সহ সব কিছু নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। একদিকে করোনা মোকাবেলা আরেক
দিকে জীবন আর এর মাঝে অর্থনীতি।
বাংলাদেশের বড় শক্তি রেমিটেন্স যোদ্ধাগণ,প্রতিষ্ঠিত শিল্প কারখানা ও তারুণ্যের মাঝে। আল্লাহর রহমতে বলা যায় একজন সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার বহর – আমরা সবসময় উল্টো রথের যাত্রী হওয়ার কারণে বর্তমান করোনা কালীন সময়েও কখনো বাস্তবতা স্বীকারে কেন জানি রয়েছে অনীহা – ভালো করলে খারাপ ,খারাপ করলে ভালো। কী অদ্ভুত রকম! আল্লাহ আমাদের সহায় তাঁর রহমত যে, এই দেশ এখনো ভালো অর্থনীতিতে টিকে আছে যা অর্থনীতিবিদগণ বলেন। তবে এটা সত্য হিমসিম খাচ্ছে ছোট-বড় সব কারখানা ,ব্যবসা সহ সব প্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ বন্ধ।
এ যেন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আলো আসার ভাবনায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; তারপূর্বে লড়াই এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতি সচল রাখা আর মানুষের জীবন নিয়ে চলছে সরকারের নানা কৌশলে করোনাকে মোকাবিলা করার লড়াই। কিন্তু আমরা একটা বড় অংশ সরকারের যেমন সমালোচনা করি আবার আরেকটি অংশ স্বাস্থ্যবিধিমানতে নারাজ।
কিন্তু প্রচুর ফোন পাই অসহায় রোগীর আত্মীয় স্বজন সহযোগিতা চায়- হয় বেড না হয় অক্সিজেন না হয় ডাক্তার। এ যেন প্রতিদিনকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষটির কাছে। কিন্তু তাকে প্রতিউত্তর দিতে পারছি না, যে ভাই, তুমি যেমন বাঁচাতে চাইছো তোমার বাবা-মা, ভাই ও স্ত্রী কে ঠিক তেমনি আরেকজনের টাও ভেবে দেখ সেও তো একই বাঁচতে চাইছে।
যাই হোক এরই নাম জীবন এবং বাঁচার জন্য লড়াই। তবে করোনা শিখিয়েছে আবার অনেক কিছু। পৃথিবীর সকল দেশের একটা উপলব্ধি হয়েছে চলতে গেলে বাঁচতে হলে সকলেন সকলের সাথে হাত মেলাতে হবে- কেননা আমরা যেমন অধিকাংশই আমদানী নির্ভর। যেমন খাদ্য হতে জীবন চলার প্রতিটি দ্রব্য -আমাদের যা আছে তা কৃষি, কিন্তু তাও আবার কোন কোন খাতে ঘাটতি।
আবার সরকারের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প এবং যা রপ্তানীতে বিশাল ভূমিকা রাখছে -এদিকে কাঁচামাল আমদানী এবং বিশ্বের বাজারে টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন পলিসি করতে হয়। তাই সর্বোপরি জীবন-জীবিকা এর সবটাই নির্ভর করে বাণিজ্য অর্থনীতির কারণে,তাই এখন সবকিছু মূল লক্ষ্য করে সরকার যেমন ভাবছে ,তেমনি এদেশে জায়ান্টগণ এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্য প্রসারে সমস্যাগুলো কোন্ কোন্ জায়গায়। আবার সরকার তখন তার ব্যবস্থা নিবে। কেননা, রাষ্ট্র কখনো ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীগণ রাষ্ট্র ক্ষেত্র তৈরী করে সহযোগিতা করে।
তাই জীবন আর অর্থনীতি নিয়ে ভাবে রাষ্ট্র।
আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যা কিছু ভালো তা নিয়েই চলি।