এইচএমপিভি হলো শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা সাধারণত মৃদু ঠান্ডা-জাতীয় উপসর্গ তৈরি করে। তবে এটি বিশেষত ছোট শিশু ও বয়স্কদের মতো দুর্বল এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের রোগ বৃদ্ধির ঘটনাটি প্রত্যাশিত। তবুও নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
৬টি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের বিস্তার রোধে –
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানির সাহায্যে হাত ধুয়ে নিন। সাবান ও পানি না থাকলে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে ফেলুন। ব্যবহৃত টিস্যু সঙ্গে সঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দিন এবং হাত ধুয়ে নিন।
যেসব ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার উপসর্গ রয়েছে তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে তৈজসপত্র, তোয়ালে/গামছা বা বিছানার চাদর ভাগাভাগি করবেন না।
যদি কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে বাড়িতে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত ব্যবহৃত বস্তু এবং পৃষ্ঠতল যেমন দরজার হাতল, সুইচ এবং মোবাইল ডিভাইসগুলো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।
ভিড় বা অপর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের এলাকায় মাস্ক পরা শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমাতে সহায়ক হয়।
এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)