অনেক সময় রাতে ত্বকে চুলকানির পেছনে থাকে শরীরের প্রাকৃতিক কিছু প্রক্রিয়া। বিশেষ করে, আমাদের শরীরের দৈনিক জৈব ছন্দ বা সার্কাডিয়ান রিদম রাতে ত্বকের নানা কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। এতে ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পানির ভারসাম্য এবং ত্বকের সুরক্ষার প্রাকৃতিক দেয়ালের কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়।
সার্কাডিয়ান রিদম ত্বকের কাজকর্মে প্রভাব ফেলে। রাতে শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যার ফলে ত্বক গরম হয়ে গিয়ে চুলকানি তৈরি করতে পারে।
রাতের বেলা ত্বক সাধারণত বেশি পানি কমে যায়। সে কারণে এই সমস্যা হয়। দেখা যায় শুষ্ক শীতের দিনে ত্বকে বেশি চুলকানির সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়। এর মূল কারণ শরীরে পানির অভাবের শুষ্কতা। আর এ কারণেই দিনে কাজের ব্যস্ততায় চুলকানির দিকে মনোযোগ না গেলেও রাতে যখন সব নিরব, তখন অনুভূতিটা অনেক বেশি তীব্র মনে হয়।
বিছানায় লুকিয়ে থাকা বেডবাগ, স্ক্যাবিস, উকুন কিংবা পিনওয়ার্মের মতো পোকাগুলো সাধারণত রাতে বেশি সক্রিয় হয়। এই পোকাগুলোর কামড়, বিষ্ঠা বা চলাফেরা ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানির অনুভব তৈরি করতে পারে। অনেক সময় ঘুমের মধ্যেও আপনি অজান্তে চুলকাতে থাকেন।
শরীরের প্রাকৃতিক সার্কাডিয়ান রিদম ছাড়াও এমন অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। যেগুলোর কারণে ত্বকে চুলকানির প্রবণতা রাতে আরও বেশি বেড়ে যায়।
কিছু সাধারণ ও গুরুতর কারণ তুলে ধরা হলো-
চর্মরোগ: একজিমা, ছুলি, সোরিয়াসিস, হাইভস
কিডনি বা লিভারের রোগ,আয়রন ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়া,থাইরয়েড সমস্যা,মানসিক চাপ, বিষণ্নতা বা স্কিজোফ্রেনিয়া,রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
ক্যানসার (যেমন: লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা)
নার্ভজনিত রোগ: ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, শিংলস, অ্যালার্জি: খাদ্য, প্রসাধনী, ওষুধ ইত্যাদির প্রতি সংবেদনশীলতা,গর্ভাবস্থা
শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)