কিছুদিন ঘরের এককোণে আলু সংরক্ষণ করলেই অঙ্কুর গজাতে দেখা যায়। সহজ ভাষায় বলত গেলে আলুতে গাছ গজিয়ে যায়। বিভিন্ন মজাদার খাবার তৈরির উপাদান আলু। আলু গ্লুটেনমুক্ত, কোলেস্টেরল নেই, সোডিয়ামমুক্ত, ভিটামিন, খনিজ ফাইবার ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ।
গাছ গজানো আলু খাওয়া ক্ষতিকর কিনা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়-
অনেকেই গাছ গজানো বা অঙ্কুরিত আলু ফেলে দেন। তারা মনে করেন এই আলুর পুষ্টিগুণ নেই। পুষ্টিবিদরা বলেন, অঙ্কুর বের হওয়া আলু শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিছু নয়। তবে এতে পুষ্টিগুণের পরিবর্তন হয়।
অঙ্কুরিত আলুর পুষ্টিগুণের ঘাটতি দেখা দেয়। যখন আলু অঙ্কুরিত হতে শুরু করে, তখন এটি তার সংরক্ষিত পুষ্টি ব্যবহার করে নতুন অঙ্কুর হয়। এর ফলে আলুর কিছু পুষ্টিগুণ, যেমন কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমে যায়। এ ছাড়া আলুর আরও কিছু পুষ্টিগুণ কমে, যা কিনা অঙ্কুরের বিকাশের ক্ষেত্রে কাজে লাগে। এই অঙ্কুর যদিওবা ভিটামিন বি৬ ও ফাইবারযুক্ত।
এছাড়াও অঙ্কুরিত আলু কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থও তৈরি করে। যেমন সোলানিনের পরিমাণ বাড়ায়। সোলানিন প্রাকৃতিক টক্সিন হিসেবে পরিচিত, যা অতিরিক্ত গ্রহণে বমি হতে শুরু করে এবং এটি অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য দায়ী। তাই রান্নার আগে অঙ্কুর এবং সবুজ অংশ বাদ দিতে বলেন পুষ্টিবিদ।
পুষ্টিবিদরা বলেন- আপনি এই আলু খাবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে অঙ্কুরের আকার ও আলুর সবুজ বর্ণের পরিবর্তনের ওপর। অনেক সময় দেখা যায় আলুর রঙ পরিবর্তন হয় তখন সেটা না খাওয়াই ভালো। এছাড়া আলুতে অল্প কুঁড়ি হলে তা ছুড়ি দিয়ে কেটে খাওয়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
যদি আলুতে ছোট অঙ্কুর থাকে এবং আলু শক্ত থাকে, তাহলে অঙ্কুর সরিয়ে ব্যবহার করা যায়।
নরম বা সবুজাভ আলু এড়িয়ে চলুন। আলু ঠান্ডা, শুকনো এবং অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করুন। তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা উচিত। একসঙ্গে রাখলে পেঁয়াজ থেকে নির্গত গ্যাস আলুর অঙ্কুর গজানোর হার বাড়িয়ে দেয়।
(স্বাস্থ্য ডেস্ক)