২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩০ এপ্রিল (২০২১) পর্যন্ত ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার ৯৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডিত করে ৭০ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪২ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২২তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বক্তব্যে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারীকালে ভোক্তা স্বার্থসুরক্ষা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, বাজারজাতকরণ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিরলস কাজ করার জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানান এবং কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় জানানো হয়, অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাজার অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার ৯৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডিত করে ৭০, কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং একই সময়ে দাপ্তরিকভাবে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে ৬ হাজার ৮২১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪০৮ টাকা জরিমানা করা হয়।
সূত্র জানায়, দাপ্তরিকভাবে নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণোদনা হিসেবে ৬ হাজার ৭৩৩ জন অভিযোগকারীকে ১ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার ১০২ টাকা দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান, সমাজকর্মী ও বিমা ব্যক্তিত্ব শেখ কবির হোসেন, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, প্রীতি চক্রবর্তী, মনোয়ারা হাকিম আলী প্রমুখ।