শনিবার (১৭ মে) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এঁর ১১২তম প্রয়াণ দিবস। এ দিন সন্ধ্যায় তার রচিত এক গুচ্ছ প্রেম ও স্বদেশি গান দিয়ে তাকে স্মরণ করেছে শিল্পকলা একাডেমি। আয়োজনটিতে ডি এল রায়ের জীবনীভিত্তিক গীতিনকশা পরিবেশন করে ভৈরবী গীতরঙ্গ দল। ‘সুরের দয়াল রায়’ শিরোনামের এ পরিবেশনাটি সাজানো হয় নৃত্য আর সঙ্গীত দিয়ে।
গান, কবিতা, নৃত্য ও আলোকমালার ছায়ায় মঞ্চে জাগিয়ে তোলা হয় কালজয়ী এক স্রষ্টার সুর ও বাণী। অর্ধশতাধিক শিল্পী একসঙ্গে মঞ্চে তুলে ধরেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জীবন, দর্শন, দেশপ্রেম আর তাঁর গানের মহিমা। জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাট্য, সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে ডি এল রায়ের ওপর আলো ফেলা হয়।
বেশিরভাগ গানই পরিবেশিত হয়েছে সম্মিলিত কণ্ঠে।
শুরুতে ভৈরবী রাগ আর ত্রিতাল তালে পরিবেশিত হয় ‘আজি নূতন রতনে ভূষণে যতনে,/প্রকৃতি সতীরে সাজিয়ে দাও’। এরপর একে একে ছিল ‘ঘন-তমসাবৃত অম্বর-ধরণী’, ‘আজি এসেছি বঁধু হে’, ‘বেলা বয়ে যায়’, ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সংগীত ভেসে আসে’, ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’, ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’ প্রভৃতি গানের সঙ্গে নৃত্যপরিবেশনা। সবশেষে ছিল ‘আমরা মলয় বাতাসে ভেসে যাব শুধু/কুসুমের মধু করিবো পান,/ঘুমাব কেতকি সুবাস শয়নে/চাঁদের কিরণে করিব স্নান।’
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রযোজনাটির ভাবনা ও নির্মাণে ছিলেন ইলিয়াস নবী ফয়সাল। সহকারী নির্দেশক ছিলেন দীপ্ত সেন।আয়োজনে ছিল শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় সাহিত্য ও ইতিহাসে পরিচিত ‘ডি এল রায়’ নামে। তিনি একাধারে কবি, সংগীতস্রষ্টা ও নাট্যনির্মাতা। পাঁচ শর মতো গান রচনা করেছিলেন। ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’, ‘আমরা মলয়ে বাতাসে’, ‘আমরা এমনি এসে ভেসে যাই’, ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সংগীত ভেসে আসে’ এর মতো কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। (ডেস্ক নিউজ)