নিজস্ব সংবাদদাতা :
স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের মূর্তি বলে নকল মূর্তি বিক্রি করায় প্রতারক চক্রের ২ সদস্য রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার।কামালকাছনা এলাকার রুবেল পিতা আবু সাঈদ এবং কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী, চর বেরুবারি এলাকার বাসিন্দা মিরাজুল পিতা রহমত আলী।
২৪মে,সোমবার দুপুরে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেন জনাব,কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা)
রংপুর পীরগাছা উপজেলা দেউতির বাসিন্দা আলু ব্যবসায়ী মাসুদ রানার সঙ্গে কামাল কাছনা এলাকার গ্রিলের দোকানদার রুবেলের পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীর রাজমিস্ত্রী মিরাজুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে মিরাজুল জানায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মনসুর ফকির নামে এক ব্যক্তির খালা স্বপ্নে একটি স্বর্ণের মূর্তি পেয়েছেন। মূর্তিটি অনেক দামি ও বিরল, এর বিশেষ শক্তি রয়েছে। ভালো গ্রাহক পেলে মূর্তিটি বিক্রি করবেন। রুবেল তার বন্ধু আবুল হোসেন ওরফে খুশু ও সুজন মিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে মাসুদকে জানায়।
পরবর্তীতে মিরাজুলের মাধ্যমে মাসুদকে একটি স্বর্ণের মূর্তি দেখানো হয়। স্বর্ণের মূর্তির বিষয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রতারক চক্র বাদী মাসুদকে স্বর্ণের মূর্তি থেকে ছোট এক টুকরো কৌশল করে ভেঙে দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে বলে। মূর্তিটির দাম ৪ লাখ টাকা দাবি করা হলে মাসুদ রানা ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন। পরে প্রতারক চক্র মূর্তি না দিয়েই টাকা নিয়ে উধাও হয়। পরবর্তীতে মাসুদ রানা রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক মিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় অনেক ব্যক্তি জড়িত। তাদের গ্রেফতার করার অভিযান চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্ত করা হয়।