বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর যুগান্তকারি অনুমোদন ,এই প্রথম গোল্ড রিফাইনারী এবং অলংকার তৈরীর ইন্ডাস্ট্রী করার অনুমোদন পেল বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ।ইতিমধ্যে প্রাথমিক সম্মতিপত্র পেয়েছে তারা ।
দেশে এই শিল্প স্থাপন হলে অপরিশোধিত সোনা আমদানী করে তা শোধন -এবং অলংকার রপ্তানিখাতে বাংলাদেশের নাম যুক্ত হবে।ইতিপুর্ব অধীকাংশ সোনা আসতো চোরাই পথে ।স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত স্বর্ণ, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করা যাবে। শুধুমাত্র স্বর্ণ নয়, কয়লাও আনা যাবে। এছাড়া অন্যান্য দামী যেমন প্লাট্নাম-হীরা ও আমদানী করা যাবে ।বাড়বে এখাতে শ্রমিকের চাহিদা-অপরিশোধিত স্বর্ণ বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ থেকে বিভিন্ন গ্রেডের স্বর্ণবার তৈরি করতে পারবে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় রয়েছে এ রকম ৩৬ টি
ইন্ডাষ্ট্রী -তা দিয়ে তারা দুনিয়াব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।আমাদের অর্থনিতীতে যোগ হবে নতুন মাত্রা । বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা যায়, স্বর্ণ নীতিমালায় স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার আমদানির বিধান থাকলেও অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক আমদানির বিষয়ে কিছু উল্লেখ্য ছিল না। অনেকেই অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিপূর্বক নিজস্ব পরিশোধনাগারে পরিশোধন করে স্বর্ণবার ও স্বর্ণকয়েন উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ ‘গোল্ড রিফাইনারি প্লান্ট’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা নীতিমালা সংশোধনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদ্যমান ‘স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮’ সংশোধন করে অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি এবং পরিশোধনাগার স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে তা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে এখনও অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ পরিশোধনে কোনো পরিশোধনাগার স্থাপিত হয়নি। অপরিশোধিত স্বর্ণ বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি ও পরিশোধন প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন করা সম্ভব হবে। এ যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করতে পারলে বিশ্ববাসীর কাছে দেশ নতুনভাবে উদ্ভাসিত হবে। পাশাপাশি বিশ্বের ‘গোল্ড রিফাইনারস’ দেশের তালিকাভুক্ত হবে বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, দেশে স্বর্ণবার বা স্বর্ণকয়েন উৎপাদন করা হলে অলংকার তৈরির যাবতীয় সোনা আর বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। শুধুু তা-ই নয়, উল্টো বাংলাদেশ সোনার বার বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এতে প্রচুর রাজস্ব আয় হবে।