তুহিন চৌধুরী – রাজনৈতিক -সাংস্কৃতিক -ক্রীড়া সংগঠক।
উচ্চশিক্ষার জন্য যে সকল শিক্ষকগণ বছরের পর বছর বিদেশে এবং সরকারের কাছে সুযোগ নিচ্ছে তাদের রেখে লাভ কি? কেননা শুনেছি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুবার অনেককে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য নোটিশ দেয়ার পরও তারা ফিরে আসে না এবং কোন না কোন তদবির চালিয়ে যায়।
অথচ অনেক মেধাবীগণ সুযোগ পায় না ।
আবার নিতীমালায় নাকি বলা আছে
সবগুলো প্রথম শ্রেণী থাকতে হবে শিক্ষক
হিসেবে আবেদনে, তবে ড: থাকলে শিথিল যোগ্য। প্রশ্নহলো ড: তো অনেক সাধারণ
বিষয়ে করা যায়।যাকগে সে কথা ।
কিন্তু এদেশের মেধা পাচার এর কথা বলা
হয় -আসলে মেধা পাচার নয়
মেধা চলে যায় কেননা কর্ম এবং তার লক্ষ্য
অনুযায়ী সে এখানে কোন গবেষণায়
যোগ দিতে পারে না । আর বাহিরে গবেষণায় যোগ দেয়া সহ উচ্চ বেতন সহ রয়েছে নানা সুযোগ সুবিধা। আচ্ছা যারা এই বিষয়গুলি ভাবার কথা তারা কি ভাবেন???
তাই সরল কথায় মনে করি এদেশের শিক্ষাখাতে গবেষণামূলক শিক্ষার
উপর জোর দেয়া প্রয়োজন মনে করি।
আবার মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় বললেন
এদেশের ব্যাবসায়ীগণ কর্মসংস্হান বা
কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করবেন।যথার্থই বলেছেন তিনি বলে মনে করি ।কেননা এম্প্লয়মেন্ট না হলে দেশ এগোতে পারে না ।আমরা স্বপ্ন দেখি এখন কেননা আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে দেখতে হয় এবং বাস্তবায়ন করা যায়।আমরা জানি অনেক বড় বড় কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে বাংলাদেশে আসার জন্য।আবার জটিলতা রয়েছে ।যেমন পৃথিবীর কোন দেশেই মটর সাইকেল এর সি সি নির্ধারন করা নেই একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া।সেখানে ইফাদ মটরসের উচ্চ মানের ফ্যাক্টরি করার জন্য এখনো ছুটে চলেছে !!!!’
কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ভালোই জানেন যে কোন প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প গড়ার জন্য কি পরিমান কাঠখড় পোড়াতে হয় ।আমরা কবে নাগাদ ভিয়েতনাম মালয়েশিয়ার মত ওয়ানষ্টপ সার্ভিস পাবো ?ব্যাবসায়ীদের দাবি ভ্যাট ট্যাক্স নিন একবারে।শিল্প বলছে ড্রামে তেল আমদানী করা যাবে না-আনতে হবে পেট বোতলে বা প্যাক করে।আমদানী কারকগণ বলছেন এতে খরচ বাড়বে।মন্ত্রক বলছে গুনগত মান এর কথা।
এদিকে শিল্প স্থাপনে পরিবেশ এর কথা বা
বাঁধা ।কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থ
বিবেচনা করে থাকে উন্নত রাষ্ট্রগুলো ।
কিন্তু সেখানে আমাদের ঘষামাজাতেই শেষ।
ভারী ইন্ডাষ্ট্রি করার আগ্রহ দেখেছি
আমাদের বড় বড় কম্পানিগুলোর ।
কিন্তু বছরের পর বছর চলে তাদের নানা
জটিলতা ।একটি দেশের বড় বড় জায়ান্টগণ দেশের বড় কর্মক্ষেত্র তৈরীর উদ্যোক্তাগণ আর সরকার তাদের শক্তি ।
শিল্প-স্বাস্থ্য -শিক্ষা সবকিছুর জন্যই সরকার
কাজ করছে।আমূল পরিবর্তন যোগাযোগ খাতে।মেগা প্রকল্প এগিয়ে চলেছে।
নিশ্চই দেশ এগিয়েছে। কিন্তু আরেকটি জায়গায় দেখা উচিত বলে মনে করি।দৃষ্টিটা উত্তরে গেলে সেখানে শিল্পায়ণে হতে পারে জাতীয় অর্থনীতির জন্য আরেকটি নতুন অধ্যায়।কেননা গার্মেন্টস এর বেশীরভাগ
শ্রমিক উত্তরবঙ্গের ।তিস্তা নিয়ে সরকারের
রয়েছে মহাপরিকল্পনা কিন্তু বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজটি কেন এখনো বিশ্ববিদ্যালয় করা গেল না? অথচ উত্তরের
রংপুর কে বলা হয় চিকিৎসার জন্য হাব।
বর্তমান সারাবিশ্ব প্রযুক্তি শিক্ষার উপর
নির্ভর। তাই আমরা আরো এগিয়ে যেতে
পারি যদি বাজেট এর মধ্য হতে ন্যায্য
অংশ আর বিনিয়োগ বান্ধব চিন্তা চেতনার
বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তে যাওয়া যায়।
তাই সরল কথার কিছু সোজা কথা।