তুহিন চৌধুরী: (রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক)
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে আজকের বাংলাদেশ। সেখানে কী করে সরকার বিরোধী,দেশ বিরোধী বক্তব্য দিতে পারে,কী করে স্বপ্ন দেখে শ্রীলংকার মত অবস্থা।গ্লোবাল সমস্যায় যেখানে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অবস্থা খারাপ,সেখানে প্রতিটি মানুষের বা এ দেশের জনগণের অবদান রয়েছে। তিলে তিলে আজ যখন বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ,তখন কারো কারো গাত্র দাহ হচ্ছে।
আসলে প্রথমে ভাবতে হবে আমাকে আমি কতটুকু প্রস্তুত আমার দেশের কল্যাণে বা দেশের প্রয়োজনে।হায়নারা আমাদের মাঝেই বিচরন করছে।আবার এদেরকে আমরাই প্রশ্রয় দেই। আমাদেরও অনেক দোষ আছে। যেমন- সিন্ডিকেট,নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীগণ,বিভিন্ন স্তরের ক্যাডারদের আমরাই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেই। এ ছাড়া পুলিশের কাছে তদবির, অনেক সময় হুমকি দিয়ে থাকি।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সকলের নিকট পরিষ্কার। জ্বালানি তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অনেক বেশী। নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবস্থা খারাপ। তারপরও সরকার ১কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে টি সি বি পণ্য দিচ্ছে। মন্দাভাবের জন্য চাকুরী বাজার অবস্থা খারাপ,বিধায় সরকার প্রধানের যোগ্য নির্দেশনায় আজকে দেশে বিভিন্ন জেলায় টেকনিক্যাল বা ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর জন্য।
যা বলছিলাম টি সি বি সম্পর্কে বি এন পি সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে দিয়ে গেছে। ১৪০০ কর্মকর্তা কর্মচারী কে অবসরে পাঠায়। অথচ আজকে জনগণের পাশে এই টি সি বি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণের পাশে।
বিদুৎ ,শিল্প ,কল-কারখানা,জুটমিল সব কিছুকে ধ্বংসকরে দিয়ে গেছে।
এ দেশকে পূনর্গঠন করে যে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পৃথিবীর কাছে প্রশংসা পাচ্ছে আর অমনি
শুরু হলো গাত্রদাহ। শান্তিপূর্ণ অবস্থায় স্থিতিশীল এই পরিবেশ চায়সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর কর্মমুখর জনগণ।জনগণ চায় দ্রব্য মূল্য সহনশীল হোক,কর্মসংস্থান হোক।দেশের রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ বিদ্যুৎ রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান সহ মেঘা প্রকল্প যা কিছু তা শেখ হাসিনা সরকার এর অবদান।
ইতোপূর্ব অবস্থা অবশ্য আমরা দ্রুত ভুলে যাই। হ্যাঁ এই মুহূর্তে আমাদের শ্রমশক্তির যে পরিমাণ
কর্মী বিদেশ যেতে চায়, তাদের দ্রুত ঝামেলা ছাড়া বিদেশ গমন তথা উন্মুক্ত হোক স্বচ্ছতার সাথে সিন্ডিকেট না হোক। এটি হলে দ্রুতই অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দিবে। এ ছাড়া রপ্তানীমুখী পণ্য যত সহজে রপ্তানী করা যায় ততই দেশের উপকার।
শক্ত হাতে অপশক্তি রোধ করতে হবে। আন্দোলনের নামে কোনভাবেই অস্থিরতা কাম্য নয়। তা না হলে আমাদের এই অর্জন থমকে যাবে। দূরবস্থা হলে কেউই এক বেলা খাবার দিবে না। সকলে মিলে আমরা দেশটাকে ভালোবাসি এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াই এবং সময় থাকতে সজাগ থাকি।