সাজেদুল করিম
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে নেপালের লুম্বিনীতে জন্মগ্রহণ করেন। এ রাতেই তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান লাভ করেন। এই পূর্ণিমা রাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল তাই বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ বলা হয় এজন্য বুদ্ধ পূর্ণিমার অপর নাম বৈশাখী পূর্ণিমা ও এ তিথিকে বলা হয় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা।
২৬মে,বুধবার বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি।বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী উৎসবটি পালন করেন।দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করে থাকেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি একইসঙ্গে শোক ও গৌরবের।
মহামতি বুদ্ধদেব একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেন। “অহিংস পরম ধর্ম” বুদ্ধদেবের এই অমিয় বাণী আজও বিশ্বে অম্লান হয়ে আছে। সারা বিশ্বে আজ জাতি-ধর্ম-বর্ণে যে হানাহানি তা রোধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বুদ্ধদেবের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাসাবো সবুজবাগ বৌদ্ধ বিহার, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ
দিবসটি উৎসবমুখর এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে