রংপুর জেলা প্রতিনিধি-
বিভিন্ন প্রকার অনুমোদনহীন রং, রাসায়নিক উপাদান, পুকুরের অপরিচ্ছন্ন পানি আর খাওয়ার অনুপযোগী সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ম্যাংগো, অরেঞ্জ,লিচী সহ হরেক রকম শিশুদের জন্য জুস। শুধু কি তাই, আরো তৈরি হচ্ছে প্রাণ এর নকল আইস ললী,জেলি ইত্যাদি।
ঢাকা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, রংপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নামিদামী কোম্পানির ঠিকানা ব্যাবহার করে উৎপাদিত শিশু পণ্যসমূহ বাজার জাত হচ্ছে। এমনি শিশু খাদ্য পণ্য উৎপাদনের নামে সীমাহীন অনিয়ম আর দুর্নীতি ধরা পড়ে রংপুর নগরীর হারাগাছ আরপিএমপি থানাধীন সরাই এলাকার পোদ্দার পাড়ায় অবস্থিত,”আরাফাত জুস কারখানায়”।
২০সেপ্টেম্বর,২০২২,মঙ্গলবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিষয় গুলি চোখে পড়ে এবং অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়।
উপ-পরিচালক মো:জাহাঙ্গীর আলম এ সময় ঐ কারখানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বললে কারখানার মালিক মো:আরাফাত হোসেন তা দেখতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠান টির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ধারায় পরবর্তী কালে এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এই মুচলেকায় ১৫,০০০ টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা করেন তিনি।
পরে সাহেব গঞ্জ বাজারে,”আল্লাহর দান হোটেল ও দুলাল হোটেল নামে দু’টি রেস্টুরেন্টে ৪৩ ধারায় ২৫০০ টাকা জরিমানা করেন তিনি এবং ঐ দলে অংশ নেয়া ঐ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: বোরহান উদদীন । অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধি ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সদস্যবৃন্দ।