এক কালিম পাখি শিকারির ফাঁদে পড়েও শেষে রক্ষা পেলো।খবর পেয়ে পাখিটি উদ্ধার করে আবারো ফিরিয়ে দেন প্রকৃতির আপন ঠিকানায় গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’-এর সদস্যরা ।
শুক্রবার (৬ জুন) পাখিটি প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামের একটি কচুর ক্ষেত থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তি দেশীয় প্রজাতির একটি কালিম পাখি শিকার করেন।
খবর পেয়ে টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিচার্স (তীর) গাইবান্ধা কলেজ শাখার সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফরিদ ও প্রচার সম্পাদক মো. মেজবাহুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিটি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের নির্দেশনায় কালিম পাখিটিকে অবমুক্ত করা হয়।
কালিম এক প্রকার জলচর পাখি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার, ওজন ৬৫০ গ্রাম। পাখিটির দেহ চকচকে নীলচে-বেগুনি রঙের। মাথায় লালচে আলতা রঙের বর্ম, চোখের পাশে সাদাটে ছোপ, পা লাল এবং আঙুল লম্বাটে। লেজের নিচের অংশ তুলোর মতো সাদা। বদমেজাজি ও সাহসী এই পাখিটি প্রজনন মৌসুমে পুরুষদের মধ্যে মোরগের মতো লড়াই করে থাকে। এক পায়ে গুলি লাগলে পা মুখে কামড়ে নিয়ে উড়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে।
তীর’ গাইবান্ধা শাখার সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এই পাখিটি শুধু প্রকৃতির অংশ নয়, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আমরা গর্বিত, একটি প্রাণকে তার প্রকৃত পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। পরিবেশ দিবসে এমন উদ্যোগ নিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তীরের সদস্যরাও।
(ডেস্ক নিউজ)