বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬১৯ মিলিয়ন মানুষ লোয়ার ব্যাক পেইনে ভুগছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮৪৩ মিলিয়নে। বয়স বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ঝুঁকি আরও বাড়বে।
অনেকেই প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে সামান্য কোমর ব্যথাকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবহেলাই বড় বিপদের কারণ হতে পারে। লোয়ার ব্যাক পেইন অনেক সময় জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ থামিয়ে দেয়। সাধারণত কোমরের নিচের অংশেই এ ব্যথা দেখা যায়।
কোমরব্যথার সমাধানে যেসব ভুল এড়িয়ে চলতে হবে-
পা গুটিয়ে বা কুঁজো হয়ে বসা পা গুটিয়ে বা
সামনের দিকে ঝুঁকে বসলে মেরুদণ্ড অস্বাভাবিক- ভাবে বাঁক নেয়। এতে ডিস্ক হেরনিয়েশনের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
মোটরবাইক চালানোর সময় মেরুদণ্ডে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এতে ধাক্কা শোষণকারী ডিস্কগুলো পেছনের দিকে ঠেলে যায়, ফলে ডিস্ক স্লিপ বা হেরনিয়েশনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
বারবার সামনে ঝুঁকে ভারী বস্তু তোলার কারণে কোমরের ডিস্কে চাপ পড়ে। এর ফলে কোমরের নিচের অংশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। তাই এভাবে কাজ না করাই ভালো।
চিকিৎসকের মতে, অতিরিক্ত কাজ, ভুলভাবে বসা এবং অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা কোমরব্যথার কারণ হতে পারে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও সঠিক ভঙ্গিতে কাজ করলেই এ সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। (স্বাস্থ্য ডেস্ক) সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস