স্টাফ রিপোর্টার-
র্যাব-১৩, রংপুরের অভিযানে দিনাজপুরের কাহারোল থানা হতে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ওই থানাধীন দশমাইল এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকৃত ৭টি ব্যাটারী, ৪টি খোলা ট্রান্সফর্মার ও ১টি হাইড্রোলিক জ্যাক উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা। এছাড়াও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ আটক করা হয়।
বুধবার (৩১ আগস্ট) র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ আগস্ট গভীর রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব-১৩ এর একটি চৌকস দল জানতে পারে যে, দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন প্রীতি বাজার এলাকায় মেসার্স এ এ ব্রিকস নামক ইট ভাটায় ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে। ওই ডাকাতির ঘটনা প্রতিরোধ এবং ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের কোতয়ালী থানার পলিপাড়ার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০) ও ডাঙ্গীর পাড়া (টার্মিনাল) এলাকার বাসিন্দা অনীল চন্দ্র বর্মনের ছেলে ভুট্টু চন্দ্র বর্মন (৪০), পীরগাছা উপজেলার জুয়ানখা মুন্সী পাড়া এলাকার গণি মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২৮), মিঠাপুকুর উপজেলার তরফবাহাদী নয়া পাড়ার বাসিন্দা আফছার আলীর ছেলে মোঃ সিফাজুল ইসলাম (৩২), কাউনিয়া থানার দক্ষিণ মদামধুন এলাকার বাসিন্দা মৃত আফছার আলীর ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮), বদরগঞ্জ উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আল-আমিন ইসলাম (৫০)। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গুলিয়াবাবুপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে মোঃ দুলাল (৪৫), ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার সিংগিয়া এলাকার নবীর উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে মোঃ সাজ্জাত হোসেন (৪০), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মামুদ গ্রামের বাসিন্দা গোফুর আলীর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (৩৫), উলিপুর উপজেলার জলনদারপুটি গ্রামের বাসিন্দা মোজাহারের ছেলে মোঃ ফারুক (৩২) এবং জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ থানার সোনাকুড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মোন্তাজ আলী ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম (৪৩)।
উল্লেখ্য- ওই ডাকাত দলের ১১ জন সদস্য মাইক্রোবাস যোগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ১ টা হতে ৪ পর্যন্ত ওই ইট ভাটায় নৈশ্য প্রহরীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং ভাটায় ডাকাতি সংগঠিত করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত ডাকাত দল স্বীকার করে যে, তারা উক্ত ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করেছে। আসামীরা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে এসে একত্র হয়ে দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে যেমন-বল পূর্বক/ভিকটিমকে চেতনাশক ঔষধ পান করে দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল। তাদের প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।