মোঃ তারেক রহমান,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী তৌহিদুল ইসলাম কে গ্রেফতারের দাবীতে ৭মার্চ সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করে ১ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে সম্মিলিত ছাত্রজোটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সড়ক থেকে সরে দাঁড়ান তারা।
শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মক আন্দলনে নামেন উপজেলা সম্মিলিত ছাত্রজোটের ব্যানারে শিবদীঘি জিরো পয়েন্ট সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং তৌহিদুলের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিচারের দাবী জানান শিক্ষাথীরা। এসময় সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) রাণীশংকৈল সার্কেল, সহকারি কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী সাহরিয়ার,থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ সেখ (তদন্ত) বলেন, বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকুক তৌহিদুলকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আজ ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে। এসময় শিক্ষাথীরা প্রশাসনের কথায় আশ্বস্থ হয়ে, আরোধ থেকে সরে দাঁড়িয়ে বলেন, তিন দিনের মধ্যে আসামী গ্রেফতার না হলে আমরা আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবীতে তৌহিদুলের বাড়ীতে অনশন অবস্থানে থাকলেও কোন সুরাহা না হওয়ার প্রতিবাদে। গত শনিবার উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা তৌহিদুলের দৃষ্টান্তম‚লক বিচার দাবী করেন। এছাড়াও তারা তাদের সহপাঠীর সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার সঠিক বিচার না হওয়া পযর্ন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দেন। পরিশেষে শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের নিকট একটি স্মারকলিপি দেন। আন্দোলনের পর থানা পুলিশ ৬মার্চ রবিবার ৫ জনের নামে মামলা রেকর্ড ভূক্তকরে ভিকটিম কে- তৌহিদুলের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা মুঠোফোনে বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমরা সহকারি প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর এলাহিকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বে-সরকারি বিধিমালায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আ’লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হকের মুঠোফোনে,এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা কমিটি এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেইনি, তবে মামলার কপি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।