20.9 C
Rangpur City
Sunday, December 22, 2024
Google search engine
Homeমতামতরাজনীতির চেয়ারে ব্যবসায়ী

রাজনীতির চেয়ারে ব্যবসায়ী

তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক -সামাজিক -ক্রীড়া সংগঠক।

গত কয়েক বছরের আলোচনায়
ব্যবসায়ীদের হাতে এখন রাজনীতি এ নিয়ে চলছে তর্ক নানা জনের নানারূপ মন্তব্য
আলোচনার গন্তব্য জাতীয় সংসদেও।কোন এক সময় বলা হতো রাজার নীতি হলো রাজনীতি-তা পরে চলে এলো পোড় খাওয়া স্কুল মাস্টার থেকে শুরু করে সমাজ পরিবর্তনের মানুষদের আন্দোলন এর মাধ্যমে চলে আসছে রাজনীতি।এর মধ্যে আমরা আমাদের রাষ্ট্র বাংলার রাজনীতি ইতিহাস সবারই জানা আছে ।এখানে বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান রাজনীতির ধারক অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না ।
তাদের সকলের অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। কিন্ত এর পিছনে আবার
অনেক মানুষ স্বাভাবিকভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতেন;কেননা এখানে রাষ্ট্রের জন্য বা সমাজের জন্য কোন ভালো উদ্যোগ হলেই অনেকে হাত বাড়িয়েছেন সহযোগিতার জন্য।

এক বঙ্গবন্ধু বাংলার নেতৃত্ব দিয়েছেন যেমন কিন্তু পরবর্তী নির্মম ইতিহাস বাংলার বুকে বঙ্গবন্ধু পিচাশদের হাতে নির্মভাবে নিহত হবার পর সেখান থেকে বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তন এর জন্য দেশে ফিরে আসে বঙ্গ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।সে সময় তিনি দেশে ফিরে আসার জন্য এদেশের তৃনমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা যেমন চেয়েছিল ঠিক তেমনি যে সকল রাজনীতির মূল নায়কগণ ছিলেন তার পাশাপাশি ছিলেন ভূমিকায় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদগণ। এ কারণেই বলবো পেশা ব্যবসা, নেশা রাজনীতি।

ধীরে ধীরে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা হতো রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী রাজনীতির সমন্বয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড।

এ দেশে এরশাদ শাসনামলে হোক আর জিয়ার আমলে হোক যে মানুষটির রাজনৈতিকভাবে পরিচয় যেমন ছিলো ঠিক তেমনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ছিলো তাহলে তো কথা নেই,তার উপর নির্যাতন নয় শুধু; তাকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । আবার যারা বিপরীতমুখী রাজনীতির সাথে হাত মিলিয়েছে তার আবার ভাগ্য দেবতা তুঙ্গে।

কালের বিবর্তনে পরিবর্তন এসেছে।কেননা এখন বলা যায়, সারা বিশ্বের সংগে সম্পর্ক তৈরী-বিনিয়োগ-আমদানী-রপ্তানী সহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ সকল কাজেই
মূল ভূমিকা পালনকারী ব্যবসায়ী এবং তাদের পলিসির কারণে রাষ্ট্রকে অনেক কাজ করতে হয় – যুগ পাল্টে এখন গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন এর সংগে কূটনৈতিক সম্পর্ক সহ মানব জীবনের পরিবর্তন পরিবর্ধন
কর্মসংস্হান যা কিছু তা ব্যবসায়ীদের মুখ্য ভূমিকা । এখান থেকে ফিরে তাকানোর কোন সুযোগ নেই।কেননা বলা হয় একটি রাষ্ট্র ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এর কারণে তার উন্নতি এখন সময়ের ব্যাপার-আর এর সংগে কাজ করে রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণ- এখানে কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাষ্ট্রের কল কব্জা ।তাদের অংশীদারিত্বের বিষয় নিশ্চয়ই আপনি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।রইলো ব্যবসায়ী তিনিতো সেই শুরু থেকে ভূমিকা
নিয়ে গুরুত্ব বহন করছেন তাহলে তিনি কেন নয় সংসদে?কেন তার কি অপরাধ রাজনীতির জায়গায় আসাতে?

এমনও রাজনীতিবিদ এই সংসদে অবস্থান করছেন যাদের ৫০ বছরের ট্রেড এবং রাজনীতির সমানতালেই অভিজ্ঞতা রয়েছে । রয়েছে বিশ্বব্যাপী একটি সম্পর্ক যা তারা কাজে লাগান। রয়েছে তাদের প্রযুক্তিগত নানাবিধ সম্পর্ক। তাদের রয়েছে এম্প্লয়মেন্ট সৃষ্টির শক্তি । এখন সময় পাল্টিয়েছে বলে রাজনীতিবিদগণের কোন মূল্যায়ন হবে না তা নয়। বরং বলা হয় রাজনীতির জায়গায় কলুষিত করেছেন (মাঠ পর্যায়ে)
রাজনীতিবিদগণ নমনীয়তার কারণে হোক আর সুযোগ নিয়ে হোক উল্টোপাল্টা
হাইব্রিড-সুযোগ সন্ধানী নানা অপকর্মের হোতারা স্থান পাওয়ার কারণে রাজনীতিতে
এলোমেলো অবস্থা তৈরী হয়েছে বলে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বর্ণনা করেছেন। বর্তমান করোনা কালীন সময়
দেশের অর্থনীতি -কর্মসংস্হান ব্যবসায়ীগণ ধরে রেখেছেন যেমন ঠিক তেমনি সংসদ সদস্য বা জনপ্রতিনিধিগণ বা রাষ্ট্রপ্রধান
দেশের সর্বক্ষেত্রেই দিকনির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় বা কর্ম সম্পাদন করে ।এখন রইলো এই দেশ পরিচালনায় সংসদ
সদস্যগণ এর মধ্যে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অন্যরা সমালোচনায় মূখর।
কিন্তু আজকের অবস্থানে বাংলাদেশ নামক
রাষ্ট্রটি রাতারাতি এ জায়গায় আসে নাই-
এর জন্য এ দেশের সফল একজন রাষ্ট্রনায়ক এর গল্প যেমন আছে-ঠিক তেমনি
একঝাঁক সফল রাজনিতীবিদ রয়েছেন ,
আর তার মাঝে আছেন কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ।যাদের রয়েছে
রাজনৈতিক তীক্ষ্ণ ধার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। এদের প্রজ্ঞার কারণে ব্যাপকহারে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন খাতে কাজ করে চলেছেন।আগেই বলেছি পেশায়
ব্যবসা, নেশা রাজনীতি । এক্ষেত্রে আরো যদি বলা যায় একজন রাজনীতিবিদ তো হাত পাতবেন না ,তিনি তার পরিবারের খরচ চালানোর জন্য যেমন ব্যবসা করতেই পারেন ঠিক তেমনি প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী রাজনীতি করলে তাতে অসুবিধা কোথায়? অন্ততপক্ষে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে চাই মানসম্মত যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত যা পাওয়া যাবে যৌথভাব উভয়ের কাছে ।

পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ রাজনীতিবিদগণেরই তো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।
এখন আর বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে
যদি বলা হয় কর্মসংস্হান এর কথা তাহলে তা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ,আর তার নেতৃত্ব দেন
একজন সফল ব্যবসায়ী- সেক্ষেত্রে একজন সফল ব্যবসায়ী বলতে পারেন যুগপোযোগী সুযোগ সুবিধার বিষয়ে রাষ্ট্র সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। আজকের বাংলাদেশ এমনিতে উদয় হয়নি – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সুযোগ্য চিন্তা চেতনার মাধ্যমে দেশকে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ দিয়েছেন এবং বিনিয়োগ বান্ধব দেশ হিসাবে বাংলাদেশ কে বিশ্বের বুকে উপস্থাপন করতে সামর্থ্য লাভ করেছেন; পাশাপাশি মেইড ইন বাংলাদেশ নামে এখন স্লোগান চলছে – করোনা
মহামারীতে সরকার সব রকম
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তাই একজন ব্যবসায়ী যদি রাজনীতির সংগে সম্পৃক্ত থাকেন সেটি তার আদর্শ এবং নেশা আর পেশা তার ব্যবসা;তাই তিনি রাজনীতি করেন বলে ব্যবসা বা রাজনীতি
করতে পারবেন না তা নয়। অবশ্যই কেউ যদি খারাপ কিছু করে তা অবশ্যই খারাপ।

News
Newshttps://sotterkontho24.com/
রোড নংঃ ৫/১, বাসা নংঃ ৩৮৮, হোল্ডিং নংঃ ৪৪৫ স্টেশন রোড, আলমনগর, পীরপুর, রংপুর। মোবাইলঃ ০১৭৩৬৫৮৫৭৭৭
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় নিউজ

সাম্প্রতিক মন্তব্য