মো: সাকিব চৌধুরী
রংপুরের অন্যতম বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় যুক্ত হলো নতুন দুটি বাঘ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে দুটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছায়। এরমধ্যে একটি বাঘিনী রয়েছে।
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাঘ শূন্য ছিল রংপুর চিড়িয়াখানা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আমবার আলী তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে দুটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছে। এদের বয়স আড়াই থেকে তিন বছর। বাঘ দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এদের নাম রাখা হয়েছে রোমিও-জুলিয়েট।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারি এই চিড়িয়াখানায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। ২০০৩ সালের ৩০ জুন ‘শাওন’ নামের ওই বাঘিনীর জন্ম হয়েছিল ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বাঘিনীটির মৃত্যু হয়। সে সময় তার বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস। ২০১০ সাল থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় তাকে সঙ্গীহীনভাবে খাঁচাবন্দি রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ-সবলই দেখা গেছে। মৃত্যুর আগে কোনো রোগেও বাঘটি আক্রান্ত ছিল না। বার্ধক্যের কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছিল। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
বাঘের খাদ্য সরবরাহকারী রমজান আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে খাঁচাটি শূন্য ছিল। আজ এক জোড়া বাঘে পূর্ণতা পেল। আমরা ভীষণ আনন্দিত। বাঘ দুটির জন্য মাংস সরবরাহসহ অন্যান্য সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে বাঘের পরিচর্যায় কোনো ঘাটতি থাকবে।
রংপুর চিড়িয়াখানার ইজারাদার (গেইট) হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বাঘ শূন্য ছিল চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীরা এসে বাঘের দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতেন। এখন বাঘ আসায় দর্শনার্থী বাড়বে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুরে একটি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।