মো: সাকিব চৌধুরী-
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী মুন্না মিয়া (১৮) ও নাইস আহমেদের (১৯) গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট সাড়ে ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালালেও তাদের সন্ধান পায়নি। রাতে বিরতি দিয়ে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে আবারো ডুবুরি দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকে নিখোঁজ এর স্বজনরা তাদের আপনজনের সন্ধানের জন্য তিস্তাপাড়ে অপেক্ষা করছেন। তাদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে তিস্তার পাড়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজারসংলগ্ন তিস্তা নদীতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একটি অটোভ্যানে করে ছয় বন্ধু গোসল করতে আসে। এরপর তারা নদীতে গোসলে নামলে ছয় বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে ধরে। এক বন্ধু কেনো রকমে সাতঁরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে ধরে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকি ২ জন সেখানেই তলিয়ে যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া আবাসনপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে নিখোঁজ মুন্না ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের নাইস আহমেদের নানা বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ফায়ার সার্ভিসকে বলতেছি যতক্ষণ তাদের সন্ধান পাওয়া না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে।
এবিষয়ে গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মমতাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সন্ধানে আমাদের ৩ ডুবুরিসহ ৬ সদস্যের টিম কাজ করছেন। আমরা ধারণা করছি পানির স্রোতের চাপ বেশি থাকায় হয়তো লাশ অনেক পিছনে চলে গেছে। এজন্যই এত সময় লাগছে। তবে আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত নিখোঁজ ২ জন শিক্ষার্থীর সন্ধান পাব।