মো: সাকিব চৌধুরী
রংপুর অঞ্চলে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বিভাগের আট জেলায় আক্রান্ত দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এডিস মশাবাহিত এ রোগে প্রাণ গেছে তিনজনের। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আট জেলায় চিকিৎসাধীন আছেন দুই শতাধিক রোগী।
রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থাপনায় পাওয়া গেছে এডিসের লার্ভা। সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ডেঙ্গুর রেড জোনে আছে ১৫টি। এ পরিস্থিতিতে নগরবাসীর দাবির মুখে মশক নিধন ও প্রচারণা অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে ৩, নীলফামারীতে ৭, গাইবান্ধায় ৩, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ এবং পঞ্চগড়ে ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এর আগের বৃহস্পতিবার ৭৭ জন এবং বুধবার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ৪০ জনসহ জেলার ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০, জেলায় ৩৬, নীলফামারীতে ২০, লালমনিরহাটে ১৭, কুড়িগ্রামে ২০, গাইবান্ধায় ২২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১ এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৫ জনসহ পুরো বিভাগে মোট ২০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রংপুর জেলায় ৪৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাফেরত মাঈদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গার গোপালের খামার এলাকায়। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত সোমবার মারা যান রংপুরের পীরগাছার মনজিলা বেগম। তিনি পারুল ইউনিয়নের কিশামতকালা গ্রামের আজাদুল ইসলামের স্ত্রী। এর আগে ৪ জুলাই মহানগরীর পুরাতন সদর হাসপাতাল সুইপার কলোনির বুলেট লাল মারা যান।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে গতকাল বুধবারও রংপুরে মানববন্ধন হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার উদ্যোগে সিটি করপোরেশনের সামনে এ মানববন্ধনে পার্টির জেলা আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে তারা মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেন।
এ প্রেক্ষাপটে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নগরীর মেডিকেল মোড় থেকে মডার্ন মোড় ঝুকিপূর্ণ ১৫টি ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক, ঝোপঝাড়-জঙ্গল কর্তন, আবর্জনা অপসারণসহ নালা, খাল ও ক্যানেল পরিষ্কার করা হবে। ড্রেন, নালা, জলাশয়, ক্যানেলে এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড স্প্রে চালু করা হয়েছে।