নিজস্ব প্রতিনিধি:
মানুষের সেবা করার জন্য সদিচ্ছা বা ব্রত থাকলে, যেকোনো পেশায় নিয়োজিত থেকেই তা করা সম্ভব, সেটা যত ছোট পেশাই হোক না কেন৷ নিজের কাজকে ভালোবাসলে আর উপভোগ করলে সেখানে সুখ নামক বিষয়টি অর্জিত হবেই। আর এভাবেই একজন মানুষ তার একই পেশার অন্যান্যদের ছাড়িয়ে অনেক উপরে সুখের জন্য স্থান করে নেয়৷
মানুষের ভালোবাসা পাওয়া এবং তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারাটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
হাসিমুখে প্রখর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তার ধারে বসে জুতা সেলাই ও পলিশের কাজে ব্যস্ত থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কানাই রবি দাস (৪৭)। তিনি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে কাজের স্থানেই বিশ্রাম নেন।
রসিক ২৮নং ওয়ার্ড,আশরতপুর পার্কমোড়, রংপুরে এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে। কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশে গাছতলায় বসে জুতা-স্যান্ডেল সেলাই ও পলিশ করেন রবি। মাঝে মাঝে দুই-এক জোড়া স্যান্ডেল তৈরির কাজও করেন। মুচির কাজ করেই সংসারের ঘানি টানছেন কানাই রবি দাস।
তার জন্মস্থান ভুরার ঘাট ফতেপুর,নয়া পাড়া, রংপুর। পরিবারে রয়েছে ৪জন সদস্য মা,স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান সহ নিজে। ছেলের নাম রিশাদ রবি দাস। সে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। রবি দাসের দৈনিক আয় ২৫০-৩০০টাকা। তার আর কোন আয়ের পথ নেই। এই সামান্য আয়েই তিনি তার পরিবারকে নিয়ে দিনাতিপাত করছেন। রবি দাসের ইচ্ছা যত কষ্টই হোক না কেন ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন।
তিনি বলেন, “যতদিন বেঁচে আছি পরিবার ও ছেলের জন্য কাজ করে যাব। আমার মতো এই
পেশায় নিয়োজিত থেকে যেন জীবন নির্বাহ না করতে হয় ছেলেকে।”