মো: সাকিব চৌধুরী
চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি হওয়ার পরও রংপুরে দিন দিন বাড়ছে আলুর দাম। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে আদাজল খেয়ে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সরকার নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করায় একটি হিমাগারের দুই মজুতদারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ও একটি হিমাগারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার।
এর আগে গত রোববার রংপুর নগরীর সিটি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ও ময়নাকুড়ি হিমাগারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
এসময় নগরীর ময়নাকুটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে সরকার নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করায় চাঁন মিয়া ও ফরহাদ হোসেন নামে দুই মজুতদারকে ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, হিমাগারে যে আলু মজুত আছে তা স্থানীয় চাহিদার দ্বিগুণ। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামের আশায় আলু মজুত রাখছে। সরকার ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২৫ থেকে ২৭ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিলেও ময়নাকুটি হিমাগারের মজুতদাররা বিক্রি করছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায়। প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
এসময় রংপুর সিটি বাজারের পাইকার ও আড়তদাররা জানান, হিমাগার মালিক ও মজুতদাররা বেশি দামে আলু বিক্রি করায় তারা চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছে না। হিমাগারে পর্যাপ্ত আলু থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে হিমাগার মালিক ও মজুতদারদের সিন্ডিকেট।