বুধবার (২৩ জুন) ২০২১ দুপুরে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে কলেজ ছাত্রী ইশরাত জাহান মিমের লাশ উত্তোলন করা হয়। মৃত্যুর ১৬ দিন পর আদালতের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মালিহা খানম, পুলিশ প্রশাসন ও মিমের স্বজনরা।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুন ২০২১ রংপুর সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান মিমকে প্রতিবেশী বান্ধবী আইভি আক্তার ডেকে নিয়ে যাবার পর থেকেই তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি। মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে আইভি। পর দিন ৮ জুন বাড়ির অদূরে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করা হয়।পরে নিহতের মা নার্গিস বেগম হত্যার অভিযোগ এনে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন । বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নগরীর ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল প্রতিবেশি যুবক আলামিন। এতে রাজি না হওয়ায় সে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। নিখোঁজ হওয়ার পর দিন ৮ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন পার্শ্ববর্তী পুকুরে মিমের মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির চাপে লাশ দাফন করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরশুরাম থানার উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, মেয়েটি তাড়াহুড়া করে দাফন করার বিষয়টি সন্দেহজনক। এমনকি এলাকায় জানাজা না পড়িয়ে দূরের মসজিদে জানাজা এবং মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
ঘটনাস্থল পরশুরাম থানাদিন হওয়ায় উক্ত থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। বিষয়টি আদালতে গড়ালে,
পুলিশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই লাশ ২৩ জুন বুধবার কবর থেকে উত্তোলন করে।এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিমের বান্ধবী আইভি, তার ভাই মুন্না ও তার বন্ধু আল আমিন টাইগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।