স্টাফ রিপোর্টার-
ডিমের দাম রেকর্ড করার পর খানিকটা স্বস্তি দিয়ে আবার বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেডেছে ৪-৫ টাকা। পাশাপাশি ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির সঙ্গে কিছু সবজির দামও বেড়েছে। তবে চাল, ডাল, আটা, ময়দাসহ তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৭-৪০ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৪ টাকা।
রংপুর সিটি বাজারের বিভিন্ন পাইকারি দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। ওই বাজারের ডিম বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘ডিম উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় খামার থেকে বেশি দাম ডিম কিনতে হচ্ছে। এরআগে সিন্ডিকেটের কারণে মাসখানেক আগে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল। দুই সপ্তাহ ধরে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৯০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেশি। পাকিস্তানি মুরগির দাম ২৮০-২৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, লেয়ার ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কামাল কাছনা বাজারের মুরগি বিক্রেতা সালাম বলেন, দাম বাড়ার পর থেকে গত এক মাস ধরে মুরগি বিক্রি কমে গেছে। বাজারে মুরগির আমদানি কমে যায়নি। তারপরও দাম স্বাভাবিক হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমছে না।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯২ টাকা, দুই লিটারের বোতল ৩৮৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১৬০-১৭০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ২৫-৩০ টাকা, গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৬-৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, ধনেপাতার কেজি ১৮০-২০০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ১০০-১২০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৩৫-৪০ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া আকারভেদে ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, কাকরোল ৩০-৩৫ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপির দাম কমে ৩৫-৪০ টাকা এবং ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি আদা (পুরাতন) আগের মতোই ১৪০-১৬০, নতুন আদা ১০০-১২০ টাকা ও রসুন ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ২৩-২৫ টাকা, শিল আলু ৩৫-৩৮ টাকা এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতোই খোলা চিনি ৯০ টাকা, প্যাকেট চিনি ৮৮ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা, বুটডাল ৮০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৩-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৫০-৫২ টাকা এবং ময়দা ৬৮-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দামে তেমন হেরফের হয়নি। স্বর্ণা (মোটা) চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।