মো: সাকিব চৌধুরী
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে, রংপুরে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ ১১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব ১৩ অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাঃ জয়নুল আবেদীন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে মহানগরীর হোটেল এম রহমান, হোটেল জামাল এবং হোটেল সানমুন থেকে আন্তঃ জেলা অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সারাদেশে পশুরহাটে গরু ব্যবসায়ীদের চেতনানাশক ঘুমের ঔষধ এবং চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে হালুয়া তৈরি করে খাইয়ে অজ্ঞান করে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লুঠপাটসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে সর্বস্বান্ত করে তারা। এই অজ্ঞান পার্টি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা মো. ইমরান খান (৩৫), রাজবাড়ীর আব্দুল সাদেক শেখ (২৫), টাঙ্গাইলের আব্দুল লতিফ (৫৬), সিরাজগঞ্জের মো. খসরু আহমেদ (৪৬), গাইবান্ধার মো. জয়নাল আবেদীন (৪৫), মুন্সিগঞ্জের মো. মহিবুল (৪৫), চাঁন শরীফ ব্যাপারী (৬২) ও মো. রিপন (৫৫), মানিকগঞ্জের আব্দুস সালাম (৪০), জামালপুরের আজাহার উদ্দিন (৬২) এবং কুষ্টিয়ার রেজাউল ইসলাম (৫৫)।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪৫০টি চেতনানাশক ট্যাবলেট, চেতনানাশক মেশানো প্রায় ১০টি কৌটায় রাখা হালুয়া, পলিথিন ব্যাগে ১৭ পিস চেতনানাশক হালুয়া উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের মূলহোতা মো. ইমরান খান স্বীকার করেন, তার দিকনির্দেশনায় অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন গরুর হাটে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। শুক্রবার দিনাজপুরের আমবাড়ী গরুর হাটে অপারেশন চালানোর পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
তিনি আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত প্রতিটি সদস্যের নামে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।