মো: সাকিব চৌধুরী
মৌসুমের শুরুতেই অপরিপক্ক লিচুতে সয়লাব হয়ে গেছে রংপুরের সিটি বাজার। তবে দামও চড়া বলে জানান ক্রেতারা। এমন অপরিপক্ক লিচু দিরাই বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার (২৮ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে মৌসুমী অন্যান্য ফলের পাশাপাশি লিচুও।
গত ২৫ দিন ধরে এসব অপরিপক্ক লিচু বাজারে এসেছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। তারা জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় গাছ মালিকরা ফল পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাজারে ছেড়ে দেন। আর ক্রেতারা মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে বেশি মূল্যে কিনে থাকেন।
একাধিক ক্রেতা জানিয়েছেন, মৌসুমী ফল হিসেবে সন্তানদের মুখে তুলে দিতেই এসব অপরিপক্ক ফল খাওয়াচ্ছি।
রংপুর সিটি বাজার সংলগ্ন লিচু ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে নতুন লিচু উঠছে শুরু করেছে তবে দাম বেশি থাকায় ক্রেতা কম। বেশি জায়গায় কম করে লিচু কিনছেন ক্রেতারা। আবার দাম শুনে অনেকেই ঘুরে যাচ্ছেন। আস্তে আস্তে লিচুর আমদানির সঙ্গে দাম স্বাভাবিক হলে বাজার জমজমাট হবে।
দাম বেশি হলেও নতুন ফলের স্বাদ পেতে বাজারে এসেছেন ক্রেতারা। দরদাম করে পরিবারের সদস্যদের মুখে এই ফল তুলে দিতে কিনছেন তারা।
লিচু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, নতুন ফল লিচু বাচ্চাদের জন্য কিনতে এসেছি। এসে শুনি সর্বনিম্ন ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। একদিনে উপার্জন করেছি ৩৫০ টাকা, তাই ৫০টি লিচু কিনলাম বাচ্চার আবদার রাখার জন্যে। করার কিছু নাই, আমাদের মতো গরিব মানুষের এই ফল কেনা নাগালের বাইরে।
বাজারে এখন যে লিচু বিক্রি হচ্ছে, তা বেশিরভাগই অপরিপক্ক। এর অনেক লিচুই স্বাদহীন, টক ও শক্ত। এতে করে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।
ক্রেতাদের দাবি, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে অসাধু ব্যবসায়িরা এসব অপরিপক্ক লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারতো না।
অপরদিকে মূল্য বেশ চড়া থাকায় অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই পুরো পণ কেনার। ফলে অধিকাংশ ক্রেতা কিনছেন হাফ পণ লিচু। আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে লিচুর দাম, বেচাকেনাও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।