মো: সাকিব চৌধুরী
রংপুরের তিস্তার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া ও লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে এখনো তলিয়ে আছে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় ভোগান্তি সীমাহীন। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে আছে আমন ক্ষেতও।
এদিকে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের দাবি পানিবন্দি মানুষের।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে পানি নেমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বর্তমানে পানির সমতল ৫১ দশমিক ০৫ মিটার, (বিপদসীমা ২৮ দশমিক ৭৫ মিটার) যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গতকাল ছিল ৪৫ সেন্টিমিটার। তবে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। বিপৎসীমার নিচে নামলেও পানিবন্দি গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছাসহ রংপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এরমধ্যে রংপুরের কাউনিয়ায় চর ঢুষমারা, হয়বৎখাঁ, আজমখাঁ, চর গনাই, বিশ্বনাথ, ও গাজিরহাটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওখান বসবাসকারীরা। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে আছে আমন ক্ষেতও। সেই সব এলাকায় ত্রাণ বিতরণের দাবি পানিবন্দি মানুষের।
এদিকে গংগাচড়া উপজেলার শংকরদহ, লক্ষীটারীতে পানি উঠলেও কমে এসেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, কিছুটা উঁচু বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ করছেন। এখনো অনেক বাড়িতে নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে। বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়েছেন বানভাসি মানুষ।
কাউনিয়া উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিদুল হক জানান, গতকাল পানি উঠলেও আজকে কমতে শুরু করেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গতকাল পানি বৃদ্ধি হলেও আজকে কমতে শুরু করেছে।