ব্যক্তিভেদে ডিপ্রেশন ভিন্ন হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন অনেক বেশি হয়, কারো আবার জটিল হয়। ডিপ্রেশনে থাকলে অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কখনো যদি আশপাশে কাউকে ভীষণ ডিপ্রেশনে থাকতে দেখা যায় বা পরিস্থিতি নেতিবাচক মনে হয়, তাহলে অবশ্যই তার অভিভাবকদের বিষয়টি অবহিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
ডিপ্রেশনে ভুগলে কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি থেকে সরে আসা সম্ভব হয়। কার্যকরী কিছু পদক্ষেপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট হেলথ লাইন।
টক থেরাপি এমন এক থেরাপি, যেখানে একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের সঙ্গে নিজের উদ্বেগ, অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করতে হয়। আপনি যদি মনে করেন, আপনাকে ভালো বুঝতে পারেন এমন কারও সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন এবং সঠিক নির্দেশনা দরকার, তাহলে টক থেরাপিস্টের দ্বারস্থ হতে হবে।
কিছু মানুষ আছেন যারা নেতিবাচক বিষয়ে ডুবে থাকেন, তবে এসব থেকে বেরিয়েও আসতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনাকে জ্ঞানীয় থেরাপিস্ট সহায়তা করতে পারে। নেতিবাচক ভাবনাগুলো আপনার হতাশা বাড়িয়ে থাকে। এ অবস্থায় যদি থেরাপিস্টের কাছে যান।
আত্ম-ধ্বংসাত্মক বা অস্বাভাবিক আচরণ শনাক্ত করতে এবং তা পরিবর্তনে সহায়তা করে বিহেভিয়ারাল বা আচরণগত থেরাপি। এর মাধ্যমে আচরণ শেখা যায় এবং অস্বাস্থ্যকর, অস্বাভাবিক বিষয় পরিবর্তন করা যায়।
জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি -জ্ঞানীয় ও আচরণগত উভয় থেরাপির সমন্বয় হচ্ছে এই থেরাপি। এই চিকিৎসা ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তির মেজাজ ও আচরণ উন্নত করার জন্য তার ভাবনার ধরনে পরিবর্তন করতে বেশ কার্যকরী। (স্বাস্থ্য ডেস্ক)