তুহিন চৌধুরী
রাজনৈতিক- সামাজিক -ক্রীড়া সংগঠক।
নানান রূপী নতুন নতুন দোকান এটাও জানি এই কথাগুলি কারো পছন্দ হবে না ।আগেই বলে রাখি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আজ টানা ক্ষমতায় বাংলাদেশ এক অপরূপ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে । অতিদ্রুত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে এবং একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে আগামীতে প্রতিষ্ঠিত হবে; এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর সুনিপুণ কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । তার একক-দূরদর্শী চিন্তা চেতনা আর একঝাঁক চৌকষ সহকর্মীদের নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের আজকের এই অবস্থান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে সারা বিশ্বের কাছ থেকে সবার সংগে বন্ধুত্ব করতে সক্ষম হয়েছেন ঠিক তেমনি গ্লোবাল সাপ্লাইচেইন এ অনেক প্রোডাক্ট রপ্তানীতে এগিয়ে গেছে। বেসরকারীভাবে ওয়ালটন-মেঘনা গ্রুপ দেশবন্ধু -ইফাদ অটো -মিনিস্টার-গার্মেন্টস-আইটি সেক্টর- সহ সকল খাতের উদোক্তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সুযোগ তৈরী করেছেন তা হচ্ছে একটি বিনিয়োগ বান্ধব একটি দেশ যার নাম বাংলাদেশ। আজকে বাংলাদেশকে পৃথিবীর নবম দেশ বলা হয় । যেই দেশ কম্প্রেসর তৈরী করছে।
আর সেটা বাংলাদেশে একমাত্র কোম্পানি ওয়ালটন। তাদের তৈরী বাটন মোবাইল আজ আমেরিকায় রপ্তানী হচ্ছে । বাংলাদেশের টেলিভিশন এখন পশ্চিমা দেশে রপ্তানী হচ্ছে। এটা নিশ্চয় আমাদের জন্য গৌরবের । মেঘনা গ্রুপ যার শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫০ টি। আজকে তারা জাহাজ থেকে শুরু করে স্পিড বোট সহ খাদ্যদ্রব্য সব তৈরী করছে ও রপ্তানী করছে।
অনেক গল্প আছে – দেখছি হয়ত একসময় বলতে পারব সুনিপুণ কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভাবুনতো একবার আল্লাহর রহমত কতবড়!আজকে আলোচনা সমালোচনা যাই থাকুক অবর্তমানে মাননীয় সভানেত্রী কি হতে পারে ? এখনই এত কিছু হওয়ার পরও নেই কোন আওয়াজ।আর পরে ? বর্তমানের মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো যে চেয়ারে বসেছে তার কাছে কি আশা করা যায় কাদের কাছে বা কে সে ? তার পূর্ব পরিচয় কি ? কিন্তু সে বড় নেতা ।
সে তো সুসময়ের নেতা। হঠাৎ করে নজরে পড়ছে তরুণ লীগ-প্রজন্ম লীগ-বৃদ্ধ লীগ- কি পরিমাণ সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে তা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জন্য ভয়ানক অবস্থার কারণ বা মাথা ব্যাথা হবে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ বলছেন। সেন্ট্রাল নেতৃত্বে বারবার বলার পরও এ সকল দোকানের কর্মকান্ড থেমে নেই।
অপরাধ বিশেষজ্ঞগণ বা প্রশাসন বলছে অপরাধীরা রাজনৈতিক লেবাস এ অপরাধ করার সুযোগ গ্রহন করে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদগণ যখন ৮০ দশকে বা ৯০ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পেটের ক্ষুধা নিয়ে যেই কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আজ সেই কর্মী উপেক্ষিত সর্বত্র। অনেকে হয়তো বলবেন যে, আওয়ামীলীগ এর কর্মীরা চাকুরীতে এগিয়ে -আমি বলবো না মেধাবীরা এগিয়ে । কেননা এই সরকার মেধার মূল্যায়ণ করে চাকুরী দিয়েছে।তাহলে কর্মী মূল্যায়ণ কিভাবে হবে বা তাদের কাজের সংস্থান না তা নয় .এখানে কর্মীটার খোঁজ অথবা বর্তমান এ ন্যূনতম আদর স্নেহ আছে কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। আর তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন কর্ম অথবা ব্যাবসার জন্য কোন রকমে যদি একটু চেষ্টা করে সেখানেও সমস্যা কেননা নতুন পুঁজিপতি নেতার তো অভাব নেই । ঘুরেফিরে দুর্দিনের কর্মীটার অনেক দোষ। আগে একটা সুযোগ ছিলো বিভিন্ন নেতৃত্ব বা মন্ত্রিগণ জেলার দায়িত্বে ছিলেন বিধায় অনেক কর্মীগণ তাদের অসুবিধার কথা বলতেন; কিন্তু এখন বলার অনেকেই আর সে জায়গা খুঁজে পায় না। কেননা নতুনের আগমন অথবা প্রবীনের বিদায় না হয় কর্মীর কথা শোনার মানুষ কমে গেছে। আর যেভাবে দোকান খোলা শুরু হয়েছে তাতে দলের এত ভালো কর্মকান্ড তা যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন এই মহামারীতে অনেক নেতা বা সংগঠন সভানেত্রীর আহ্বানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং প্রশংসা পেয়েছেন আবার অনেক জায়গায় দলে আগতরা অথবা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলের বদনাম করেছে । মাননীয় সভানেত্রী বাংলার প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আমরা দল হিসাবে তৃপ্তির ঢেঁকুর যেমন তুলছি তেমনি বিনীতভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ আপনাদের কঠোর অবস্থানের কারণে হতে পারে এ সকল দোকান বন্ধ।
করোনা আমাদের দেখিয়েছে কে বাঁচবে আর কে মৃত্যু বরণ করবে তার কোন সময় নাই । তাই এলোমেলো হলেও নতুন এর আগমন হোক শুদ্ধাচারের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার ফিরে আসুক। কর্মীদের কাছে নেতার ধমকটাও আনন্দের যদি নেতা কর্মীর নাম ধরে ডাকে । কিন্তু বর্তমানে আসল কর্মীরা হারিয়ে যাচ্ছে নতুন আগন্তুক এর ভীড়ে। এদের কাছে দল বা জাতি কী আশা করতে পারে? কখনো যদি কোন বিপর্যয় আসে দেখা যাবে তিনি ততক্ষণে নাই হয়ে গেছেন।মাদক/নেশা কোন নেতার ইশারায় চলে উপরের নেতৃত্ব জানার পরও ব্যাবস্থা হয় না। দলের ত্যাগী কর্মীটার নাম থাকে না। নতুন নতুন নেতা যা কিনা দলকে অনেক পস্তাতে হবে এই সকল কারণে। বঙ্গবন্ধু কে মারার পর পিচাশেরা উল্লাসকরেছিলো ভাগ্য সহায় আল্লাহ তার দুই কন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং হ-য-ব-র-ল অবস্থার আওয়ামীলীগ এর হাল ধরেন ও জাতিকে পথ দেখাতে থাকেন।ন৮১ থেকে আজকের এই বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা বলি স্লোগান দেই কিন্তু সেই দু:সময়ের অর্ধেক মানুষ নেই। ২০০৮ সালের পর নতুন নতুন দোকান আরো তৈরী হওয়া শুরু হলো ভাই লীগ -ভাই যা চাইবে তাই হবে কাকে কিভাবে সাইজ করা যায় ।একবার বিরোধী দলের একজন মন্তব্য করেছিলো যে আওয়ামীলীগ নিজেরা আগে সামলাতে পারে কিনা সেটাই প্রশ্ন। তাই যে ক্ষ্যাপা রাজনীতির উত্থান তারজন্য এখনো সময় আছে। কি করনীয় তা করা কেননা নেতৃত্বে থেকে যাওয়া ১২ বছরের নেতা এখন আর দল নয় চোখে কালো চশমা। তৃনমূল এ লীগের ছড়াছড়ি কিন্তু আসল লীগ পাওয়া অনেক জায়গায় সমস্যা । আর যত দোকান।
কাষ্টমার নাই সব নেতা।এক সময় এ দেশের মানুষ এমন কি সাধারণ মানুষও বলেছিলো বা বিরোধীরা তিরস্কার করেছিলো ডিজিটাল কী? বা এটা আবার কী? আজকে সেই ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া একজন রিক্সা চালকও নেটওয়ার্ক না থাকলে বিরক্তি প্রকাশ করে।কোন কারণে গ্রামে বা শহরে বিদুৎ না থাকলে এখন মানুষ আশ্চর্য হয়। একবার এক জরিপে বলা হলো –
মাননীয় সভানেত্রী অনেক জনপ্রিয় দলের চেয়ে। কিন্তু কেন মাননীয় সভানেত্রী? তিনিতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর তৃনমূল এর। না খাওয়া কর্মীটার শেষর আশ্রয় স্থল।বর্তমানে এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে দল কতটুকু আস্থা আর বিশ্বাস নেতৃবৃন্দ না দেখলে কে দেখবে? কিছুদিন থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়েছিলো এবং তা আবার বন্ধ হলো কোভিড-১৯ করোনার কারণে। অনেক জায়গায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী হেরেছে আবার জয়ী হচ্ছে বিদ্রাহী প্রার্থী। কিন্তু কেন ? কারন একটাই অধিকাংশ জায়গায় ভাইলীগ-নেতালীগ অথবা তদবীরের কমিটি কাজকরছে এবং অধিকাংশ জায়গায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এর নির্বাচনের পরে নতুন আগমণকারীর হাতে অথবা ২০০১ সালে যার বয়স ছিলো ১৫ বছর আজকে সে ৩৬ বছরের এবং সে নেতৃত্বের জায়গায় অথবা রাতারাতি সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ হয়েছে ভাই লীগ এর কারণে।পাশাপাশি অবৈধ ব্যবসা গুলির মালিক হয়ে গেছে। অনেককে মূর্খ বুঝেও সহ্য করতে হয়। দলের বদনাম হয় এবং প্রবীণ আওয়ামীলীগ কর্মীটার মন তখন ডুকরে কাঁদে ।কেননা দূর্দিনে সে ছিলো !
পুলিশ মামলা সব তাকে সহ্য করতে হয়েছে। আজ সুদিনে হাইব্রিডদের রাজত্ব। কিন্তু,এরপর কি হবে ?আজকে করেনাকালীন সময় মানুষের পাশে কারা আছে? অথচ ! মাননীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন হাইব্রিড বা কাউয়া লীগ। এছাড়া আলোচনায় এসেছিলো এত আওয়ামীলীগ রাখবো কোথায়। আজকে যখন এদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলে তখন কোন আওয়াজ নাই। এত উন্নয়ন এর কথা কতজন বলে ? এতগুলি টেলিভিশন কতটা এই সরকারের কথা বলে ? একটা নিউজে দেখেছিলাম পশ্চিম বঙ্গের একজন বলছে দিদি বিজেপি কে ভোট দিচ্ছি তাকে জিতবার জন্য না-আপনাকেই দিতাম কিন্তু দিতে পারছি না! আপনার প্রার্থীটা ঠিক করতে পারলেন না। তাই বলছি ভাই লীগ-হাইব্রিড লীগ কমিটি যদি হয় তাহলে ভবিষৎ কী ? আত্ম সমালোচনায় যদি ভালো কিছুর উদয় হয়। কাউকে নয় ভবিষ্যৎ !এলোমেলো কথাগুলি আঘাত নয় -ঐতিহ্য আর ইতিহাসে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আরো মজবুত সংগঠন হোক মাননীয় সভানেত্রীর গড়া আগামীর বাংলাদেশ যা- পৃথিবীর বুকে পরিচিত হবে মেইড ইন বাংলাদেশ হিসাবে গর্বিত হবে। ভালো থাকুক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ক্ষুদ্র কর্মীটি ভালোবাসার আওয়ামীলীগ এর নিবেদিত কর্মীটি।
ব্যক্তিগত কোন লেখা বা মতামতের ক্ষেত্রে সম্পাদক দায়ী নয়। এর সমস্ত দায়ভার লেখকের।