মুলা ঠিক যেমন অনেকের কাছে অবহেলিত সবজি, তেমনি সাধারণত শরীরের ঘাটতি পূরণে শীতকালীন সবজিই মুলা। পুষ্টিবিদের মতে- মূলায় আছে প্রচুর ফাইবার,সেই সঙ্গে আছে সালফারসমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে গাঁজনপ্রক্রিয়ায় প্রচুর গ্যাস তৈরি করে।
এ জন্য কি এই সবজির পুষ্টিগুণ নেই? অবশ্যই আছে। কিছু বিষয় মেনে মুলার তরকারি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদ। যেমন- মুলা ঝোল করে অথবা ভাজি করে খাওয়া ভালো। তবে তার সঙ্গে অন্য সবজি মিশয়ে নিতে হবে। চাইলে মাছ বা মাংস দিয়েও মুলা রান্না করতে পারেন।
শুধু মুলার তরকারি খেলে গ্যাস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। কাঁচা মুলা খাওয়া একবারেই ঠিক নয়। মুলা ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। মুলার গন্ধ এড়াতে রান্নার সময় তেল একটু বেশি ব্যবহার করতে হবে। যাঁরা ক্যালরি-সচেতন, তাঁরা মুলার ঝোল খেতে পারেন।
সকালের নাশতায় মুলার কোনো পদ রান্না না খাওয়াই ভালো। আর একবারের খাবারে মুলা তিন থেকে চার টুকরার বেশি খাওয়া যাবে না।
মুলা হজম হতে অনেক সময় নেয়। আর এ জন্য মুলার তরকারি খেয়েই ঘুমাতে যাবেন না। একটু হাঁটাহাঁটি করুন। কারণ, এক জায়গায় বসে থাকলে হজম প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়। আর মুলার তরকারি খেতে হবে দিনের বেলা। রাতে মুলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
মুলা! নাম শুনেই অনেকে চোখ কুঁচকান। অনেকেই মুলা খেতে চান না। কিন্তু মুলায় মেলে নানা উপকার। তরকারি হিসেবে বা সালাদে নানাভাবে মুলা খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মুলার অনেক পুষ্টিগুণ। যকৃৎ ও পাকস্থলী পরিষ্কারে মুলার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত তাই খাবার টেবিলে মুলা রাখতেই পারেন।
এই সবজির রয়েছে অনেক উপকারিতা –
শীতকালে প্রতিদিন মুুলা খেলে সর্দিকাশির সমস্যা এড়ানো যায়। মুলা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
মুলা পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং হজমের উন্নতি ঘটায়। মুলা রক্তে শর্করার পরিমাণও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। মুলা শরীরে লোহিত রক্তকণিকা সংশ্লেষণে সাহায্য করে।রক্তে অক্সিজেন বাড়ায়,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।(স্বাস্থ্য ডেস্ক)