ডেস্ক নিউজ –
১৯৯০ সালে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের স্মারক নির্মাণের জন্য ‘শব্দকণ্ঠ’ নামে কারমাইকেল কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠন উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য শিক্ষক-ছাত্রের সমন্বয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রেজাউল হকের নেতৃত্বে ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি গঠিত হয়।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক,শিক্ষাবিদ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা জনাব হাসান আজিজুল হক মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে প্রগতিবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র রাতের আঁধারে সেটি ভেঙে ফেলে।
আবারো ২০০৯ সালে ভাস্কর্য নির্মাণ বাস্তবায়নের দাবী জোরদার হয়। ২০১০ সালের মাঝামাঝি প্রফেসর এবিএম রমজান আলীকে আহ্বায়ক করে ভাস্কর্য নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এম ফিল করা মেধাবী ভাস্কর শামিরা খানম শ্যামলী এঁর নেতৃত্বে একদল ভাস্করের নিরলস পরিশ্রমে তাদের হাতের স্পর্শে কারমাইকেল কলেজ রংপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৬ ফুট।
০২পৌষ,১৪১৭বঙ্গাব্দ,১৬ ডিসেম্বর ২০১০ সালে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা সাহারা ফেরদৌস-এর ভাস্কর্যের পর্দা ওঠানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাস্কর্যের উন্মোচন ঘটে।
ভাস্কর্যটির মোট ব্যয় ১০ লক্ষ টাকা। ভাস্কর্য নির্মাণে কলেজ কর্তৃপক্ষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, মাননীয় সংসদ সদস্য টিপু মুনশি,মাননীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ মহোদয়গণের নিকট নৈতিক ও আর্থিকভাবে ঋণী। স্থানীয় সুধী ও সংস্কৃতিকর্মীগণও ভাস্কর্য নির্মাণে সহযোগিতা করেন।